রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এক শিক্ষার্থী আবাসিক হলের নিজ কক্ষে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করা ওই শিক্ষার্থীর নাম তোফায়েল আহমেদ। তিনি শেকৃবির ৭৬তম ব্যাচের এনিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থী।
তোফায়েলের বন্ধুরা জানান, গত ১৮ ডিসেম্বরের সিআরআইয়ের অনুষ্ঠানে মারামারির ঘটনায় তোফায়েলসহ পাঁচজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেই সময় থেকেই তার মানসিক অবস্থা ভেঙে যায়। চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে তোফায়েল আহমেদ এ আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি চিঠি লিখে একসঙ্গে ১০টা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে নেন তোফায়েল। তাকে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দীতে নিয়ে যাওয়া হয়। পেট ওয়াশ করে এখন সোহরাওয়ার্দীতে ৫ তলায় ওয়ার্ডে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, কয়েকবার অকৃতকার্য হওয়ায় তিনি এ বছর ৭৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পড়াশোনা করছিলেন। তবে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়ায় শিক্ষাজীবন নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, রুমের দরজা-জানালা বন্ধ পেয়ে আমি বেশ কিছুক্ষণ তোফায়েলকে ডাকি। না পেয়ে জানালা খুলে দেখি সে একটি বেডে শুয়ে অস্বাভাবিকভাবে হেঁচকি তুলছে। আমি দ্রুত পাশের রুমের কয়েকজনের সহায়তায় দরজার লক ভেঙে তাকে বের করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ বলেন, চিকিৎসক রোগীর সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখাশোনা করছে। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা এখনো অবগত নই।