আর দুদিন পরই শুরু হচ্ছে ইংরেজি নববর্ষ। এর আগে ২০২৩ সালকে বিদায় জানাতে ৩১ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হবে থার্টিফাস্ট নাইট। বরাবরের মতো এবারও ইংরেজি নববর্ষে প্রকাশ্য কোনো সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ইংরেজি নববর্ষ পালনের নামে সকল ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিক পরিস্থিতি এড়াতে কাল সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও হাতিরঝিলে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ডিএমপি। একই সাথে উন্মুক্ত স্থানে নাচ-গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না; আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বা কেনাবেচা করা যাবে না বলে ডিএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে আরও রয়েছে…
ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্য স্থানে কোনো ধরনের সভা-জমায়েত বা উৎসব করা যাবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তন করবেন এবং রাত ৮টার পর প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র প্রদর্শন করতে হবে।
গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এসব এলাকায় বসবাসরত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
একই সময়ের মধ্যে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যারা বসবাস করেন না, তাদের ওসব এলাকায় গমনের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হলো।