The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

উপাচার্য উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চবি শিক্ষক সমিতির অনশন

চবি প্রতিনিধিঃ বিতর্কিত নিয়োগ নিয়ে তিন অবস্থান কর্মসূচির পর এবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ৩ ঘণ্টার এ প্রতীকী অনশন করে শিক্ষক সমিতি।

কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, সিন্ডিকেটে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রণয়নের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ সালের বঙ্গবন্ধুর তৈরী এক্টকে ভিতর থেকে অকার্যকর করার একটা প্রক্রিয়া আপনারা চালু করেছেন। সিনেটসহ বিভিন্ন প্লানিং কমিটির সিদ্ধান্ত কে পাশকাটিয়ে নিজেদের খেয়ালখুশি মতো বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় এক্ট কে আপনারা অকার্যকর করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন। আপনার পদত্যাগ করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, উপাচার্য, উপ- উপাচার্য আমাদের শিষ্টাচার শিখাচ্ছেন। শিষ্টাচার কি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের আপনাদের থেকে শিখতে হবে না। উপ-উপাচার্য রসায়নের শিক্ষক। উনি কোন শিষ্টাচারের বিবেচনায় পাঁচটি বিভাগের সাতটি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য?। এটা হাস্যকর।

প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর আইন বিভাগের নির্বাচনী বোর্ড নিয়ে বলেন,’ প্রফেসর আব্দুল্লাহ ফারুক, উনি আইনের কথা কলে নীতির কথা বলে কিভাবে সাইন করলেন। আপনি কত অনিয়ম, কত দুর্নীতি করেছেন। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করি, এখানে কোনো অনিয়ম, কোনো দুর্নীতি হলে আমার লজ্জা লাগে’।

অনশন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক, কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক সেকান্দার চৌধুরী সহ অর্ধশতাধিক শিক্ষকবৃন্দ।

উল্লেখ্য, বাংলা ও আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে গত তিন অবস্থান কর্মসূচির পর এবার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক সমিতি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.