লাবিবা সালওয়া ইসলামঃ গত ৯ ডিসেম্বর রোজ শনিবার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইয়াং বাংলা আয়োজিত বিচ্ছুরণ ২.০, স্মার্ট পাওয়ার এন্ড এনার্জি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা ২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। শীর্ষ ২৩টি দলের মধ্যে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড রিসার্চ এর ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিটার সাইন্স সোসাইটির সদস্য মো: রবিউল আলম মারুফ বিজয়ী হয়।
ইয়াং বাংলা ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাওয়ার সেল সৃজনশীল ধারণা প্রতিযোগিতা “বিচ্ছুরণ” এ বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েট এর কম্পিউটার সাইন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক নার্গিস আক্তার এবং গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি. এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং হেড অব ডিজিটাল বিজনেস মো. মনিরুজ্জামান খান।
“বিচ্ছুরণে” শীর্ষ ২৩ টি দল এবং বিজয়ীদের পুরস্কার হিসাবে ৫ লাখ টাকা এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ‘ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড অপটিমাইজেশন অব এ গ্র্যাভেটি পাওয়ারড ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেটর ইউজিং নিওডিমিয়াম ম্যাগনেট কয়েল পাথ ওয়েস’ এই আইডিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন জনাব মারুফ। মহাকর্ষ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওইন্ডিং ও গোলক রোটর সমৃদ্ধ পাওয়ার জেনারেটর তৈরা করাই এই গবেষণার মূল লক্ষ্য। এখানে নিওডিমিয়াম ম্যাগনেট প্রস্তাব করে শক্তি উৎপাদনের বিষয় প্রায় বিরতিহীন চলবে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়াও মারুফ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এর অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২০২১ সালে সরকারি প্রণোদনায় “ডেভলপমেন্ট অফ অ্যান্টিগ্র্যাভিটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশাল ইন্টেলিজেন্স” শীর্ষক গবেষণার জন্য অনুদান পান। প্রায় ২ বছর সাধনার পর দেশের প্রথম পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উড়াতে সক্ষমতা অর্জন করেছেন মারুফ এবং গবেষণাটি পরিচালনা করছেন পরমাণু শক্তি গবেষণা ইন্সটিটিউট, সাভার,ঢাকাতে।
প্লাজমার সাহায্য প্রটোটাইপ উড়ানো গবেষণা সেটাপের অন্যতম মূখ্য বিষয় হল যে, উচ্চশক্তি প্রয়োগ করে বায়ুর নাট্রোজেন ভেঙ্গে প্লাজমা স্টেটে নিয়ে যাওয়া। এতে ইলেক্ট্রিক ডিসচার্জ অঞ্চল থেকে প্লাজমা উচ্চশক্তি নিয়ে গতি অঞ্চলে প্রবেশ করে, যা যন্ত্রটি উড়ানোর শক্তি সরবরাহ করে।এই মুহুর্তে তার গবেষণার ৪ ভাগের ১ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
মারুফ জানান, এর আগেও ২০২১ সালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিকিরণে তার আইডিয়া সাবমিশন করলেও প্রথম রাউন্ডেই বাতিল হয়ে যায়। নিটারের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী হয়ে জাতীয় পর্যায়ে কাজ উপস্থাপন করা তার জন্য গৌরব এবং আনন্দের। ভবিষ্যতে উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা চালু থাকবে বলেও তিনি জানান।
অনার্স তৃতীয় বর্ষে থাকাকালীন সময়েই জনাব মারুফ সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রায় ১১ লাখ ৩০ হাজারের মতো গবেষণার জন্য অনুদান প্রাপ্ত হন।