The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীণ বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান

চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের নবীণ বরণ ও ৩৮তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নবীণ শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও বিদায়ীদেরকে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় চবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা সভা।

চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মিরাজ রিহাম ও সাজেদা ইসফাত সামান্তার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোরশেদুল হক। এছাড়া অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারজানা নাসরিন, অধ্যাপক ড. আমীর মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, অধ্যাপক ড. কাজী এসএম খসরুল আলম কুদ্দুসী, অধ্যাপক ড. সোনিয়া হক, অধ্যাপক হোসাইন কবির ও অধ্যাপক ড. আফরোজা বেগম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ। এছাড়া সমাপনী বক্তব্য দেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হোসাইন কবির বলেন, সবাই বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে, রাজনীতিতে গিয়ে ক্ষমতাবান হতে চায়, অথচ নতুন কিছু উদ্ভাবন করতে চায় না। অথচ আমাদের দেশ ও জাতির জন্য অনেককিছু করার আছে। আমরা যদি লোকপ্রশাসন বিভাগকেই শেষ সীমানা মনে করি, তাহলে আমাদের ধারণা ভুল। আমরা বাউন্ডারি দিই যাতে বিশেষভাবে নিজেকে চিহ্নিত করা যায়। তবে মনে রাখতে হবে এখানেই আমাদের পড়াশোনা শেষ নয়। দুঃখজনক বিষয় হলো সবাই ক্যাডার হতে চায় কিন্তু কেউ উদ্যোক্তা, জ্ঞান, সৃজনশীল প্রজ্ঞাবান হতে চায় না।

অধ্যাপক ড. আফরোজা বেগম বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর আমি এই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছি। লোকপ্রশাসন বিভাগের মতো এমন বন্ধন আমি খুব কম দেখেছি। এ বন্ধন অটুট থাকুক। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের কর্মের ব্যপ্তি শুধুমাত্র ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবে না। বরং তোমরা মানবিক মানুষ হয়ে তোমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা আমাদের।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, লোকপ্রশাসন বিভাগ যেসব কোর্স এবং ম্যাটেরিয়াল দ্বারা সাজানো হয়েছে আপনারা যদি সেটা যথাযথভাবে অধ্যয়ন করেন, আমার মনে হয় আপনাদের কেউ আটকাতে পারবে না। যারা আজকে বিদায় নিচ্ছেন, তাদেরকে বলবো- প্রশাসনের কাজ হলো মানুষকে সেবা প্রদান করা। মনে রাখতে হবে, আপনারা যেখানেই যাবেন, আপনাদের মূল লক্ষ্য হবে মানব সেবা।

আলোচনা সভা শেষে কেক কাটেন অতিথিরা। পরে আনন্দ শোভাযাত্রা, কালারফেস্ট ও ফ্লাশমব অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। দুপুরের মধ্যহ্নভোজ ও বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দিনব্যাপী এ উদযাপন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.