বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মানবাধিকার : বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। সেন্টার ফর এডভোকেসি প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সেমিনারে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “যুদ্ধের নামে হোলি খেলায় দুই দেশ যুদ্ধ করে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করা হয়। এটি মানবাধিকারের ভূলুণ্ঠন। মানবাধিকারকে খন্ডিত করা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেটি জাপানের মানুষের উপর করা হয়েছে। এখন গাজায় চলছে। তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ মনে করলো এটি আর চলতে দেওয়া উচিত নয়। তারপর এই মানবাধিকার দিবস প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখনো বিশ্বের নানা দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।”
তরুণদের উদ্দেশে ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “আমাদের বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ছিল না। আমেরিকা, ইংল্যান্ডের মতো আমরা যদি উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারতাম, ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতাকে বদল করতে পারতাম তাহলে কিন্তু তারা আজকে আমাদের ঈর্ষা করতো। আমাদেরকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতো। আজকে আমাদের তারা বড় ভাই সুলভ আচরণ করে থাকে। সেজন্য তারা বারবার আমাদেরকে খ-িত করার চেষ্টা করে থাকে। তারাই বারবার বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতা বদল করেছে। এখন নির্বাচনের যে ধারাবাহিকতা চলছে, সংবিধানের যে অনুসরণ চলছে সেটি অব্যাহত রাখতে হবে।”
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, “আমাদের গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতাকে নস্যাৎ করার জন্য বারবার চেষ্টা করা হচ্ছে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। গণতন্ত্র ও উন্নয়ন ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে না পারলে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, স্মার্ট বাংলাদেশের পথে জয়যাত্রা ব্যাহত হবে। তাই বাংলাদেশ ও বাঙালির স্বার্থে আগামীৎৎ নির্বাচনে আমরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চাই, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। সেজন্য যতটুকু কর্তব্য সেটুকু আমরা করবো।”
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. আতাউর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, ব্যবসায় প্রশাসন অনুৃষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রিয়াদ হাসান, চারুকলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, বঙ্গবন্ধু-নীল দলের সাধারণ সম্পাদক ড. সেলিম আল মামুন, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর। প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জী স্বাগত বক্তব্য দেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যপক মাসুম হাওলাদার। এসময় বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।