দুদকের অভিযানে জিগাতলার সরকারি কলোনির ২০ বাসা দখলমুক্ত
জিগাতলা বি-টাইপ কলোনির ৫ ভবনের ২০টি বাসা অবৈধভাবে দখল করে ভাড়া তুলছিলেন কলোনির নেতা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী রাশেদ। অভিযোগ পেয়ে গত ৩ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় এবং একই সঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করে।
দুদকের সুপারিশ আমলে নিয়ে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে এবং একই সঙ্গে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুদকের এনফোর্সমেন্ট বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, কলোনির নেতা এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারী সরকারি বাসা অবৈধভাবে দখল করে বহিরাগতদের ভাড়া দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এমন অভিযোগে গত ৩ অক্টোবর এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযান চালায়। অভিযানকালে টিম জিগাতলা বি-টাইপ কলোনির ৫টি ভবনের প্রতিটি বাসার বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে সর্বমোট ২০টি বাসা অবৈধভাবে দখলকৃত অবস্থায় পায়। বাসাগুলোয় অবস্থানকারী বহিরাগত ভাড়াটিয়ারা জানায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মচারীর মাধ্যমে বাসা ভাড়া নিয়েছেন এবং তাকে ভাড়া পরিশোধ করছেন।
অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে ধানমন্ডি গণপূর্ত উপবিভাগকে ব্যবস্থা নিতে বলা হলে তারা ওয়াসা, পিডিবি ও তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সহযোগিতায় কলোনির ২০টি বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই কলোনির দখলকৃত বেশিরভাগ বাসা অবৈধ দখলদার মুক্ত হয়েছে বলে গণপূর্ত বিভাগ জানিয়েছে। এ বিষয়ে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।