The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

কোটায় নম্বর কমিয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই – ইউজিসি সচিব

ইবি প্রতিনিধি : গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কোটাসহ যাবতীয় সকল ভর্তি কার্যক্রম গত ১৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছেন।

তবে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হলেও এখনো পোষ্যকোটায় ভর্তি যোগ্যতা শিথিলের দাবি জানিয়ে আসছে ইবির কর্মকর্তারা। এর আগে ‘ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি’র ব্যানারে পোষ্যকোটায় সন্তানদের ভর্তি শর্ত শিথিল করে আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই ভর্তির দাবিসহ ১৬ দফা দাবিতে অন্তত দুইমাস কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তাদের একটি অংশ।

তবে গুচ্ছের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময় ও নির্দিষ্ট নিয়মের বাইরে গিয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থী ভর্তি করানোকে নিয়মবহির্ভূত ও অনৈতিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউজিসি ও গুচ্ছ সংশ্লিষ্টরা।

গুচ্ছ ভর্তি শেষ হলেও নম্বর কমিয়ে কোটায় ভর্তি প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এর সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আবেদনের যোগ্যতা থাকলেই ভর্তি, পৃথিবীর কোথাও এমন নিয়ম নেই। কোটায় নম্বর কমিয়েও শিক্ষার্থী ভর্তির কোনো সুযোগ নেই। গুচ্ছ কেন্দ্রীয় কমিটি যে নম্বর নির্ধারণ করে দিয়েছে সেটাই চূড়ান্ত। গুচ্ছের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারে না। কাউকে অতিরিক্ত সুবিধা দেয়ার জন্য ভর্তির ন্যূনতম নম্বর কমানো সম্পূর্ণ অনৈতিক। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুনগুন মান নষ্ট হয়। যে শিক্ষার্থী ১০০ নম্বরের মধ্যে ৩০ নম্বরও পাবে না তার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কোনো অধিকার নেই।

এদিকে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও (ইবি) গুচ্ছের অধীনে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এ শিক্ষাবর্ষে ইবিতে পোষ্য কোটায় ন্যূনতম ৩০ নম্বর পেয়ে শর্ত পূরণ করে ২০ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয় বলে নিশ্চিত করেছেন পোষ্য কোটায় ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ আজাদ ।

সর্বশেষ, গত ১৫ অক্টোবর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) গুচ্ছের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ধার্য্য কৃত ন্যূনতম নম্বর ৩০ এর পরিবর্তে ২০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্তদের ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, নির্দিষ্ট সময় কিংবা নম্বরের বাইরে ভর্তি নেয়ার নিয়ম নেই। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি এক্ষেত্রে ভর্তি গ্রহণ করে তবে তা হবে নিয়মবহির্ভূত। গুচ্ছ সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্তই গুচ্ছ কমিটির সভায় নেয়া হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.