ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, সততা, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করে শিক্ষার্থীদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সব প্রতিকূলতা, বৈরী পরিবেশ ও সীমাবদ্ধতা মোকাবিলা করে উন্নত ও সমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।
বুধবার (৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’র অফিস উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’র অফিস উদ্বোধন ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর অফিসকক্ষেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনের পর ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’র সঙ্গে ৪টি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এসব সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। অনুষ্ঠানে ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীয়ত উল্লাহ, ডিপিডিসি’র পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহিউল আলম, সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষে ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও রফিকুল ইসলাম, এক্সপো হোল্ডিংস্ (বিডি) লিমিটেডের পক্ষে ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও এম এইচ খুশুরু এফসিএ এবং এসইবিপিও সার্ভিকইঞ্জিন লিমিটেডের পক্ষে এইচআর ম্যানেজার আবুবকর সিদ্দিক সমঝোতা স্বাক্ষর করেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্কের নতুন দ্বার উন্মোচন হলো।
এর আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, প্রশিক্ষণ প্রদান, খণ্ডকালীন কাজের সুযোগসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করায় তিনি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসমূহকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উপাচার্য আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট’র কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদেরকে নিয়োগযোগ্য করে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।