চবি প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) অছাত্র ও বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করতে গেলে আলাওল হল প্রভোস্ট’সহ আবাসিক শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল আলাওল হলে থাকা এক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীর রুম সিলগালা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। এসময় শহিদুলসহ ১৫-২০ জন ছাত্রলীগের কর্মী শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ করেছেন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম। তবে বিষয়টি অস্বীকার করছেন বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শহিদুল।
আলাওল হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ফরিদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা ছিলো যারা ক্যাম্পাসে অছাত্র এবং বহিস্কৃত তাদের গতকাল ৬টার মধ্যে হল ছাড়তে হবে। আমাদের কাছে তথ্য ছিলো যে হলে একজন বহিষ্কৃত ছেলে আছে। তার ভিত্তিতে আমাদের হাউজ টিউটররা মিলে হলে গেলে ১৫-২০ রুম সিলগালা করতে দিবে না বলে। একপর্যায়ে টিউটরদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং বলে হল তারা দখল করছে এটা ছাড়বে না।
আলাওল হলের হাউজ টিউটর সেলিমুল হক বলেন, আমি বাহিরে আছি বাসায় গিয়ে এনিয়ে বলি? কারণ আমার আসেপাশে লোকজন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে লজ্জা লাগে। আমাদেরকে স্যার সম্মোধন করে বিকৃত ভাবে মা-বোন তুলে গালাগালি করছে। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারবো না।
আই ই আর বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষা বর্ষের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাকে হলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে এটা শুনে আমি হল থেকে জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে যাই। আমি একজন ছাত্রনেতা। আমাকে প্রভোস্ট স্যার ব্যক্তিগত অহংকার থেকে বহিষ্কার করেছে। তিনি নিয়মিত হলে আসেন না। হলের আসন বরাদ্দ দিচ্ছেন না তারা। হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা এসব নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি তাদের বিভিন্ন কথাবার্তার মাধ্যমে অপমান-অপদস্ত করেন। হলের কর্মচারীরা ঠিকমতো কাজ করে না। আমি এবিষয়গুলো নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি আমার সাথেও খারাপ আচরণ করে। এর জেরে আমাকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে। মূলত তিনি হলের প্রতি উদাসীন সেটা আমি দেখিয়ে দেওয়ায় আমার প্রতি তার ক্ষোভ থেকে বহিষ্কার করেছে। আমি থাকিও না। জিনিসপত্র যা ছিল তা আমি আগেই নিয়ে এসেছি। আমি তখন ছিলাম না। আল আমিনের সাথে কয়েকজন জুনিয়র ছিল। তবে তারা খারাপ ব্যবহার করেনি।
এবিষয়ে বাংলা বিভাগে ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী আল আমিন বলেন, গালিগালাজ করা হয়নি। আমরা তাদের সাথে কোনোরকম খারাপ ব্যবহার করিনি।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা বিষয়টি প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে শুনেছি। আমরা তাৎক্ষণিক সেখানে গিয়েছি কিন্তু তখন আবাসিক শিক্ষকরা চলে গিয়েছেন।