The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে নবীনদের প্রত্যাশা

আধুনিকতার এই যুগে জ্ঞান চর্চায় বিশ্ববিদ্যালয় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশ্ববিদ্যালয় একজন ছাত্রের জীবনে সামাজিক মর্যাদা যেমন বৃদ্ধি করে ঠিক তেমনি একজন ছাত্রের পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়তা করে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ, সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির এবং নিজের পরিপূর্ণ বিকাশ লাভের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। স্বভাবতই নতুন শিক্ষার্থীদের কাছে ক্যাম্পাসের বিষয়টা আনন্দের ও উচ্ছ্বাসের। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষার্থীদের স্বপ্নময় ভাবনাগুলো তুলে ধরেছেন দি রাইজিং ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ফিচার লেখক সাকিবুল ইসলাম।

স্বপ্নকে আরো কাছ থেকে ছুঁতে চাই

জবি তুমি আমার অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা আর সাধনার ফসল। অনেক স্বপ্ন আর আশায় বুক বেধেছিলাম। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমি পেয়েছি আমার প্রিয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে। এতো এতো বিশ্ববিদ্যালয় থাকতেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ঐতিহ্য ও দুর্বার এগিয়ে চলা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে মেতে উঠতে চাই বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর ঘুরাঘুরিতে, বড় ভাইয়া আপুদের কাছ থেকে পেতে চাই স্নেহ-ভালোবাসা ও দিকনির্দেশনা, সবার সাথে গড়তে চাই এক মায়ার বন্ধন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরেই যেতে চাই সফলতার শিখরে।

মোঃ ইউনুস মিয়া. শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জবি।

আকাঙ্ক্ষা যেখানে গিয়ে পূর্ণতা পায়

বাকিদের মতো আমরাও তীব্র আকাঙ্ক্ষা ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। আর এই আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যায় আমার বড় ভাই ও প্রিয় শিক্ষকদের মাধ্যমে অনুপ্রাণীত হয়ে। যেদিন আমি সকল চরাই উতরাই পেরিয়ে প্রথম শুনতে পারলাম আমি আমার স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছি তখন আমার অনূভুতিটা আসলে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতোই ছিল। বাবা-মায়ের চোখে মুখে আনন্দ দেখে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য ধন্য মনে হয়েছিল। প্রথম যেদিন স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করি মনের অজান্তে বুকটা কেঁপে ওঠে। আমার মনোজগতে সপ্নের বিদ্যাপীঠ নিয়ে যত কৌতূহল ছিল হয়ত আমি তা থেকেও বেশি কিছু পাচ্ছি আমার স্বপ্ন পূরণের হাতিয়ার হিসেবে। এছাড়া শিক্ষকদের আদর ভালোবাসা আমাকে আরো বেশি সাহস জোগায় একজন সুনাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলে দেশের কল্যাণে ভূমিকা পালনের জন্য।

ঝুমা আক্তার, শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইনিস্টিউট, জবি।

স্বপ্নময় যাত্রায় আমরা নবীন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়টি ঢাকার মধ্যে এবং পুরনো একটি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এটি ছিল আমার প্রথম পছন্দের। আলহামদুলিল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা গবেষণা (IER) এ ভর্তির সুযোগ পাই।
আমরা নব্য চান্সপ্রাপ্ত নবীয়ানরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পদার্পণ করি। আমাদের স্বপ্ন পূরনে জ্ঞান চর্চার মাধ্যম হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালকে বেছে নিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের নবীনদের মেধা বিকাশে সুন্দর ও সুগম পথ তৈরী করার জন্য শিক্ষক সিনিয়রদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা, শিক্ষকদের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে বন্ধুসুলভ ও সহযোগিতাপূর্ণ, সিনিয়রদের সাথে সম্পর্ক হবে সম্মান ও স্নেহের এই আমাদের কাম্য। যাতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে পারি এবং আমাদের মেধার যথার্থ প্রতিফলন ঘটাতে পারি।
ইনশাআল্লাহ আমরা নবীনরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুন্ন রাখবো। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হোক সুন্দর ও সহযোগিতাপূর্ণ।

মোঃ রিয়াদ সরকার, শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জবি।

জবি আমার অগ্রযাত্রায় সারথি

১৯৫৮ সালে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠা সেই প্রতিষ্ঠানটি আজ দেশের স্বনামধন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে রয়েছে পুরান ঢাকার হাজারো ঐতিহ্য। বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে (বিসিএস ব্যাংক ইত্যাদি) ঢাবি, রাবি, জাবির পাশে জবির নামটা রাখা বাঞ্ছনীয়।

গুচ্ছ ভুক্ত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে তবুও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমার নজর কেড়েছে যেমন এ বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা শহরে হওয়াই দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের আগমন ঘটে এবং সবার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার একটা সুযোগ থাকে, আবার বিসিএস, ব্যাংক বা বড় বড় ক্ষেত্রে বড় ভাইদের পদচারণায় উৎসাহিত হই।

সবার মত আমি ও একটা ভালো অবস্থানে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম উজ্জ্বল করার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ ।
পরিশেষে বলতে চাই সিনিয়র রা এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমনই একটা পরিবেশ কামনা করি যেন আমার জুনিয়র কে সেটা শেখাতে পারি।

 

মোঃ নিরব চৌধুরী, শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ, জবি।

যেতে চাই সফলতার উচ্চ শিখরে

‘এডমিশন’ শব্দটা শুনলেই যেন মানসপটে ভেসে ওঠে ইতিহাসের পাতায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অক্ষরে লিখে থাকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিকদের মতো বিভীষিকাময় শত শত রাত্রি যাপন এর কথা। উচ্চ মাধ্যমিক এর গন্ডি পার হতে না হতেই যে যুদ্ধটা শুরু হয়, সেটা যদিও কোনো রাষ্ট্রপ্রধান ঘোষিত যুদ্ধ নয়,তবে মনের সাথে যুদ্ধ করা সব যোদ্ধাদের কাম্য নয়। ঠিক তেমনই এক যুদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরিক্ষা।
ঢাকায় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে জবির নৃবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলাম। শুনেছি সপ্নবাজদের এক আতুরঘর এই বিশ্ববিদ্যালয়। নিজেকে স্বপ্নবাজদের দলে সামিল করতে পেরে আনন্দিত। ছোট ক্যাম্পাস, আবাসনহীন, খেলার মাঠ নেই ইত্যাদি নানান সমস্যা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষাগত মানের দিক দিয়ে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। হাজার তরুণকে স্বপ্ন দেখায়
আমিও সপ্ন দেখছি সফলতার উচ্চ শিখরে পৌঁছে দেশ ও দশের হয়ে কাজ করার।

ফারুক আল নাসির, শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জবি।

প্রেরণা জোগায় নিজেকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার

একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনে স্বপ্নের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। জবিয়ান হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার মাধ্যমে আমার স্বপ্ন ছোঁয়ার অনুভূতিটা অন্যরকম। ইতিহাস আর ঐতিহ্যঘেরা ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের চাহিদার শীর্ষে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, শিক্ষক, সিনিয়রদের সহযোগিতা ও বন্ধুসুলভ আচরণ আমাদের প্রেরণা জোগায় নিজেকে অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার, প্রতিষ্ঠিত করার ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার। তাই, এতোটুকুই কামনা যেন শেষ অবধি এই প্রেরণাটুকু ধরে রেখে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে যেতে পারি। উজ্জ্বল করতে পারি বাবা মায়ের মুখ। অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারি দেশের উন্নয়নে।

জোহরা তুজ জামান, শিক্ষার্থী, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জবি।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.