রাবি প্রতিনিধি: স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে কৃতিত্বপূর্ণ বিশেষ ফল অর্জনের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কলা অনুষদের ১২টি বিভাগের ১৪ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি একটি ক্রেস্ট, সনদপত্র এবং ৫ হাজার নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীরা হলেন দর্শন বিভাগের জান্নাতুন নাহার, ইতিহাস বিভাগের সুরাইশতা নাঈম, ইংরেজি বিভাগের উম্মে কুলসুম প্রসূন, বাংলা বিভাগের মোসা. আইরিন খাতুন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোসা. শ্রাবণী আক্তার ও মো. রহমত উল্লাহ, আরবি বিভাগের মো. বায়েজীদ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাব্বির হোসাইন, সংগীত বিভাগের বিদিতা রায়, নাট্যকলা বিভাগের শাকিবুল হাসান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আতকিয়া আনতারা, সংস্কৃত বিভাগের মো. মিলন ইসলাম ও প্রতিমা রাণী এবং উর্দু বিভাগের সাদিয়া জান্নাত।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবায়দুর রহমান প্রামাণিক প্রমুখ। এছাড়াও কৃতি শিক্ষার্থীদের অভিভাক এবং কলা অনুষদের সব বিভাগের সভাপতি এবং শিক্ষকেরা।
অনুষ্ঠানে সংগীত বিভাগের সভাপতি শায়লা তাসমিন-এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ফজলুল হক।
অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড ফজলুল হক বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে কলা অনুষদের ভূমিকা অপরিসীম। এ ভূমিকার পিছনে আমাদের মূল উপাদান হলো দুটি। একটি হলো এই অনুষদের প্রগতিশীল শিক্ষকগণ, দ্বিতীয়টি হলো আমাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীগণ। অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা যখন আপনাদের সন্তানদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান তখন তাদেরকে আমাদের সন্তান হিসেবেই আমরা লালন করি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি কৃতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদেরকে। কলা অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের সাথে জড়িত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কথা আছে, ”বিদ্যার’ বিদ্যা সহজ, শিক্ষা কঠিন।’ ‘বিদ্যা আহরণে, শিক্ষা আচরণে’। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধু জিপিএ, সিজিপিএ অর্জন করা না। এর উদ্দেশ্য হলো অন্তরের অন্ধকার দূর করা।