The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

টিচ ফর বাংলাদেশ ফেলোশিপ পাচ্ছেন বেরোবি শিক্ষার্থী মাসুদ

বেরোবি প্রতিনিধি: সুবিধা বঞ্চিত স্কুলগুলাতে শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করা, শিক্ষার চ্যালেঞ্জ গুলা আবিষ্কার করে শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ করা এবং প্রান্তিক সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করায় এ মাসে টিচ ফর বাংলাদেশ ফেলোশিপ পেয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি)শিক্ষার্থী মাসুদ ।

পুরো নাম আবদুল্লাহ আল মাসুদ।বর্তমানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তাঁর জন্ম যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার ঝাউদিয়া গ্রামে। তার বাবা মৃত আবদুল খালেক। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট ।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ তার এই সাফল্যের গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই আমার পরিকল্পনা ছিল ডেভেলপমেন্ট সেক্টর এ ক্যারিয়ার গড়ার। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম বর্ষ থেকেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় এনজিওর সাথে কাজ করা শুরু করি। এই ৪ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভর করে অর্জিত এই সাফল্য, যা আমার ফাইনাল সেমিস্টার এর রেজাল্ট হাতে পাবার পূর্বেই জব এর নিশ্চয়তা। এই ফেলোশিপ এ আমি ফুল ফান্ডেড মাস্টার্স এর পাশাপাশি আকর্ষণীয় স্টাইপেন্ড এ ফুল টাইম জব অপরচুনিটি পাচ্ছি। গ্রাজুয়েশন শেষে করেই স্বপ্নের মত ক্যারিয়ার এর শুরু।

এছাড়াও তিনি অন্য দের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি তাদের অ্যাকাডেমিক পড়াশুনার পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনে কাজ করে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে তাহলে পড়াশুনা শেষ করেই চাকরির পিছনে দৌড়ানোর খুব একটা প্রয়োজন হয় না।

সংস্থাটি ২০১২ সালে বাংলাদেশ এ কার্যক্রম শুরুর পর ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর সারাদেশ থেকে শিক্ষা বৈষম্য দূর করতে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষার্থী যারা দেশের ইতিবাচক পরিবর্তনে বিশ্বাসী তাদেরকে এই ফেলোশিপ দিচ্ছে ।

বাংলাদেশের পিছিয়ে পড়া তথা সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে বিজারমান শিক্ষা বৈষম্য দূরীকরণ, প্রান্তিক অঞ্চলে বিরাজমান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে সেগুল সমাধান এবং সকলের জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ তৈরির মাধ্যমে দেশের শিক্ষা কাঠামোতে ইতিবাচক পরিবর্তনের অংশীদার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার স্বাপ্নে মাসুদ ও এই ফেলোশিপ এ আবেদন করে এবং দীর্ঘ সিলেকশন প্রক্রিয়া শেষে তার হাতে ধরা দেয় টিচ ফর বাংলাদেশ ফেলোশিপ । ফাইনাল সেমিস্টারের রেজাল্ট পাওয়ার আগেই আগেই তিনি এই সাফল্যে অর্জন করায় তিনি খুবই উচ্ছ্বাসিত।

টিচ ফর বাংলাদেশ একটি অনন্য ফেলোশিপ প্রোগ্রাম যেখানে অসামান্য এবং বৈচিত্র্যময় তরুন নেতাদের নিয়োগ করা হয়। টিচ ফর বাংলাদেশ এর ফেলোরা একটি নিম্ন-আয়ের সম্প্রদায়ে দুই বছরের জন্য শিক্ষাদানের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়, যেখানে তারা স্থানীয় স্কুলে শিক্ষক হিসাবে কাজ করে।

এই দুই বছরে, ফেলোরা তাদের প্লেসমেন্ট স্কুল এবং সম্প্রদায়ে মিশে গিয়ে, পূর্ণ-সময়ের শিক্ষক হিসাবে কাজ করে এবং সমস্ত বাচ্চাদের জন্য সুযোগ সম্প্রসারিত করার সাথে তাদের শিক্ষার আনন্দ এবং চ্যালেঞ্জগুলি আবিষ্কার করে শিক্ষার অসমতা দূরীকরণে কাজ করে। এই ফেলোশিপ সময়কালে ফেলো দেরকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি থেকে একটি ফুল ফান্ডেড পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা (মাস্টার্স ইন এডুকেশন ) করার সুযোগ প্রদান করা হয়।

ফেলোশিপের কথা বলতে গিয়ে তার মা রাবেয়া বেগম বলেন, প্রথমে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতেছি। এটা আমাদের জন্য অনেক গর্ব ও খুশির সংবাদ। আমি অনেক খুশি হয়েছি।

দূর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.রিপন বলেন, বাংলাদেশে টিচ ফর ফেলোশিপ পাওয়ায় মাসুদকে অভিনন্দন! শিক্ষার রূপান্তরের জন্য তার নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি সত্যিকার অর্থে অনুপ্রেরণাদায়ক। তার যাত্রা অর্থপূর্ণ সংযোগ, প্রভাবপূর্ণ পাঠ্য বহির্ভূত অভিজ্ঞতা এবং ছাত্রদের জীবনে পরিবর্তন আনার আনন্দে পূর্ণ হোক। মাসুদের প্রচেষ্টা অগণিত তরুণ মনের ভবিষ্যত গঠন করছে এবং তার আবেগ বাংলাদেশের শিক্ষার ভূখণ্ডে একটি দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করবে। এই যাত্রায় অনেক শুভকামনা রইলো শুভকামনা।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.