রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রক্সিহোতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়সহ রাবি ছাত্রলীগের চার নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ শনিবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, শের-ই বাংলা ফজলুল হক হলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও একই হলের কর্মী শাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গণ এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের কর্মী মহিবুল মমিন সনেটকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের একটি জরুরি মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ আগস্ট রাতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তবে ৩ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে দলটি। কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় তাকে আজ রাতে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটা মেনে চলতে আমরা বাধ্য। তন্ময় এর আগেও বহিষ্কার হয়েছিল পরে আবার তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। পুনরায় সে আবার অপকর্মের দায়ে আজকে আবার স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার বিষয়ে অবগত ছিলেন। ফলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কেউ এমন অপকর্মে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী ও তাকে সহায়তা করার অভিযোগ ওঠে। ফলে শুক্রবার (১৮ জুলাই) নগরীর মতিহার থানায় রাবি ছাত্রলীগের নেতাসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
মামলার এজহারে বলা হয়, প্রক্সি চক্রের একটি গ্রুপের সঙ্গে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা চুক্তি করে আহসান হাবীব নামের এক শিক্ষার্থী। এর প্রেক্ষিতে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা নগদ ও ৬০ হাজার টাকার চেক পরিশোধ করেন তিনি। ভর্তি পরবর্তীতে বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভর্তি শেষে বাকি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে আটক রেখে শিক্ষার্থীর বাবার কাছে আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে ওই প্রক্সি চক্র। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।