যবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক যায় যায় দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও ক্যাম্পাসে মুক্ত সাংবাদিকতার চর্চা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (যবিপ্রবিসাস)। আজ সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২ ঘটিকায় ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে সাংবাদিক সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোসাব্বির হোসাইন, সহ সভাপতি জহুরুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক ওয়াশিম আকরাম, প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক এটিএম মাহফুজ, সদস্য রুহুল আমিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ার তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কোনো ভুল করে থাকলে উপাচার্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতেন কিন্তু ইকবাল মনোয়ারের পেশাগত দায়িত্ব পালনের প্রতিক্রিয়া কুবি উপাচার্য তার শিক্ষা জীবনের উপর দেখিয়েছেন। এটি কুবি প্রশাসনের ক্ষমতার অপব্যবহার।
কারণ দর্শানোর নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে তড়িঘড়ি করে বহিষ্কারের মাধ্যমে উপাচার্য নিজের স্বৈরাচারী মনোভাবের পরিচয় দিয়েছেন। বক্তারা বলেন, ইকবাল মনোয়ারের উপর আরোপিত অবৈধ বহিষ্কারাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়া দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাওয়ার কারণে কুবি উপাচার্যকে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, কুবি ভিসি ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলে ইকবাল মনোয়ারকে বহিষ্কার করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কুবি ভিসি দুর্নীতির পক্ষে সাফাই গাইবে আর সাংবাদিকরা তা লিখলেই তাদের বহিষ্কারের মতো ন্যক্কারজনক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এটা আমরা মেনে নেব না। অবিলম্বে ইকবাল মনোয়ারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলে ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মোসাব্বির হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন, সহ-সভাপতি জহুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিবুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ওয়াসিম আকরাম, প্রচার প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক এটিএম মাহফুজ, কার্যনির্বাহী সদস্য নির্মল কুমার, রুহুল আমিন, সদস্য শেখ সাদী, মোস্তফা গালিব, শিহাব উদ্দিন সরকার, মোতালেব হোসাইন, দিশা প্রিয়া মিষ্টিসহ সাংবাদিক সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
জানা যায়, গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন দুর্নীতির বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘অনেকেই বলে দেশে দুর্নীতির কারণে উন্নয়ন হচ্ছে না। কিন্তু আমি বলব উল্টো কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে বলেই উন্নতি হচ্ছে।’ উপাচার্যের এমন বক্তব্য সংবাদে তুলে ধরায় ২ আগস্ট (বুধবার) ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।