শরিফুল ইসলাম সৌরভ, কলেজ প্রতিনিধিঃ “ডেঙ্গু রোধে চাই সচেতনতা গড়ে তুলি সতর্কতা “এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে রাজশাহী কলেজে পরিচালিত হলো ডেঙ্গু সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান।এতে অংশ নেয় রাজশাহী কলেজ অধ্যক্ষ, শিক্ষক শিক্ষিকা ও সাধারণ শিক্ষার্থী বৃন্দ। রাজশাহী কলেজ দর্শন বিভাগের এথিকস ক্লাব এর তত্তাবধানে প্রচারাভিযানটি পরিচালিত হয়।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও শিক্ষাবান্ধব রাজশাহী কলেজ ক্যাম্পাস সকলের কাছে সুপরিচিত। বরাবরই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে কলেজ প্রাশাসন। এই ধারাবাহিকতায় আজকের এই ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে দর্শন বিভাগের এথিকস ক্লাব লিফলেট বিতরণ এবং প্রচারণা র্যালির আয়োজন করে। সকাল ১০.৩০ টায় রাজশাহী কলেজ ফুলার ভবনের সামনে থেকে র্যালি শুরু হয়। পরে পুরো কলেজ প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ করে র্যালিটি প্রশাসনিক ভবন হয়ে মূল গেটের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় রাস্তার পাশ দিয়ে মূল গেটের সামনে কিছুক্ষন অবস্থান করে রাস্তায় চলমান জন সাধারনের মাঝে লিফলেট বিতরন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক, প্রফেসর রাজিয়া সুলতানা, বিভাগীয় প্রধান, দর্শন বিভাগ।এছাড়াও দর্শন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও এথিকস ক্লাবের উপদেষ্টামন্ডলী উপস্থিত ছিলেন । কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাঃ আব্দুল খালেক বলেন, শুধু ওষুধ কিংবা ট্রিটমেন্ট নয় জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে ও এ সম্পর্কে জানানোর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি আজকের এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে একজন মানুষও যদি সচেতন হয় সেটাই আমদের সার্থকতা। তিনি সকলকে আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থেকে অপরকে সচেতন করার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় দর্শন বিভাগের প্রধান প্রফেসর রাজিয়া সুলতানা বলেন,সাধারণ জনগণের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা জাগ্রত করতে আজকের এই কর্মসূচি। যাতে তারা জানতে পারে কিভাবে ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করতে হবে।তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু হলে কি করনীয় এবং কিভাবে নিজেদেরকে নিরাপদ থাকতে হবে এই বিষয় গুলো জানানোই এই আয়োজনের উদ্দেশ্য । এসময় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরাও র্যালিতে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে, এ বছর আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি পাচ্ছে । ১৮ জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত, দেশে ইতিমধ্যেই মশাবাহিত রোগে ১২৭ জন মৃত্যুর ঘটনা (মহিলা ৭৩ পুরুষ ৫৪) রেকর্ড করা হয়েছে, যা আগের বছরের (২০২২) তুলনায় বিস্ময়করভাবে পাঁচ গুণ বেশি। ডেঙ্গু ৬০টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন যে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে, যা বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি তৈরি করছে।