কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরে এবার সেই সাংবাদিককে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কাজী নজরুল ইসলাম হল প্রশাসন।
গত ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ দেওয়া হয় যায়যায়দিন পত্রিকার সাংবাদিক ও ইংরেজি বিভাগের ১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, গত ০২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস আদেশ সাপেক্ষে পরবর্তী কার্যার্থে কাজী নজরুল ইসলাম হলের হল প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়োরকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বলবৎ থাকাকালীন হলে অবস্থান না করতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
এবিষয়ে ইকবাল মনোয়ার বলেন, ‘প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিয়মবহির্ভূত ভাবে আমাকে বহিষ্কার করে শিক্ষার্থী হিসেবে আমার অধিকার হরণ করেছে, যা পরবর্তীতে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার মধ্যে দিয়ে আরেকটি অন্যায় সিদ্ধান্ত আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে কাজী নজরুল ইসলাম হলের প্রভোস্ট ড. মিহির লাল ভৌমিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে আমাকে যে অনুলিপি দিয়েছেন আমি সেটা দিয়েছি। তবে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলেও কেন হল থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নে প্রভোস্ট বলেন, ‘আমি তোমার সাথে মোবাইলে এই বিষয়ে কথা বলতে পারব না। অফিসে আসেন এসব বিষয়ে কথা হবে।’
তবে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হলেও ঐ শিক্ষার্থীদের পরিক্ষায় অংশগ্রহণ সহ হলে অবস্থান করতে কোন বাধা প্রদান করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন। তবে ভিন্ন পদক্ষেপ দেখা যায় সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারের সময়।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৩১ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ‘নবীন বরন ও বিদায়’ অনুষ্ঠানে উপাচার্য দুর্নীতি পক্ষে বক্তব্য দেন। এটা নিয়ে দৈনিক যায়যায়দিনে সংবাদ প্রকাশ করলে ক্যাম্পাস প্রতিবেদক ইকবাল মনোয়ারকে বহিষ্কার করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।