রাকিব মাহমুদ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা স্নাতক সম্পন্ন উপলক্ষে তাদের স্মৃতিকে চিরঅম্লান রাখতে পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি শিরোনামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করেছে।
২০১৮ সাল থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি বিভাগে ১০৫জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রথম তিন বিভাগের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ছিল একটি। মোট ৩৭জন শিক্ষার্থী ও তিনজন শিক্ষক নিয়ে বিভাগের যাত্রা শুরু হয় এবং এ বছর বিভাগটির প্রথম ব্যাচ তাদের স্নাতক সম্পন্ন করে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম স্নাতক সম্পন্ন করা একটি ব্যাচ স্মরণিকা প্রকাশ করেছে। বিকেল ৫টায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর লেকচার থিয়েটারে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলআলোকে’ গেয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান শুরু করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা প্রদর্শন করা হয়।
এরপর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের স্মরণিকা পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেন রবীন্দ্র উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম।
বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাদিয়া ও অনিকের সঞ্চালনায় উক্ত ব্যাচের সকল শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভাগের সকল শিক্ষকও তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শাহ্ আজম বলেন,
‘সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের স্মরণিকাটি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে স্বাধীন বাংলাদেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত তাই এখানে
শ্রেণিকক্ষভিত্তিক পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মেধা ও মননে সাংস্কৃতিক এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে চাই। এরই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মাঝে যারা গ্রাজুয়েশন শেষ করেই তাদের স্মৃতিকে অম্লান রাখতে স্মরণিকা বের করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এটি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য পরম আনন্দের’।
রবীন্দ্র উপাচার্য আরও বলেন, আমি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করছি। তারা তাদের কর্মজীবনে সফল হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা’।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মোঃ রিফাত-উর-রহমান। এছাড়া বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ, শিক্ষক জান্নাতুল মাওয়া মুন, রাজীব অধিকারী, মো. আজিম উদ্দীনসহ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা।