সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: নারী সহপাঠীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উল্কা-২ বাসে চলাচলকারী শিক্ষাদের ওপর হামলা, মারধর ও বাস ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে সৌখিন পরিবহনের চালক-হেলপারদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে বনানী ও মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম, আইন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের রক্তিম ইউসুফ ও শেখ সাব্বির আহম্মেদ সজল, ভূগোল ও পরিবেশ ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ জিদান, রসায়ন বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজিব শাহরিয়ার। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন আহত শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাজিপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী উল্কা-২ বাস বনানী এলাকায় এলে পাশ দিয়েই চলাচল করা সৌখিন পরিবহনের একটি বাসের হেলপার কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে কটু কথা বলে। সেই সময় বাসের কয়েকজন ছাত্র তার প্রতিবাদ করে এই ঘটনার জন্য সৌখিন পরিবহন বাসের অভিযুক্ত হেলপারকে ক্ষমা চাইতে বলে। পরে তর্ক-বিতর্ক শেষে ঘটনার মিমাংসা হয়। উল্কা-২ বাসটি মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকায় এলে সৌখিন পরিবহনের ওই বাসের হেলপার, ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের নেতৃত্বে বাসট্যান্ডের শতাধিক হেলপার ও ড্রাইভার শিক্ষার্থীদের ওপর রড, লাঠি নিয়ে হামলা করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এদের মধ্যে রডের আঘাতে নাইম ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায় ও দুই হাতের আঙুল কেটে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। আরেকজন মাথায় লাঠির আঘাতে আহত হোন। বাকি তিনজনকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এবিষয়ে আহতদের একজন রসায়ন বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজিব শাহরিয়ার বলেন, আমরা সকালে উল্কা-২ বাসে করে গাজিপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলাম। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বনানী এলাকায় এলে সৌখিন পরিবহন বাসের হেলপার আমাদের কয়েকজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। আমরা এর প্রতিবাদ করে তাকে ক্ষমা চাইতে বলি। সেখানে ঘটনার মিমাংসা হলেও মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকার কাছাকাছি এলে সেই বাসের হেলপার ও ড্রাইভারের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী আমাদের ওপর রড ও লাঠি নিয়ে হামলা করে৷ এতে আমরা ৫ জন আহত হয়েছি। দুইজন গুরুতর আঘাত পেয়েছে। আমাদের বাসও তারা ভাংচুর করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের বাসও ভাংচুর করা হয়েছে। এঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। নামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। প্রক্টরিয়াল বডিকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’