বাকৃবি প্রতিবেদক: বিপ্লবের ডাক দিলেই বিপ্লব হয় না। ছাত্র ও যুবসমাজের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছাড়া বিপ্লব সম্ভব নয়। মোক্ষম সময়ে সঠিক বিপ্লবী আওয়াজ তুলতে হবে।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্স বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। শুক্রবার (১৪ জুন) বিকাল চারটায় বাকৃবির শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংসদের ৩১ তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আমরা সংখ্যায় অল্প। কিন্তু এর জন্য আমি ভীত নই। আমরা ছাত্র সমাজকে কতটুকু প্রভাবিত করতে পারি এটিই দেখার বিষয়। বর্তমানে আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য, মেহনতী মানুষের সুখ, সমাজতন্ত্র সব হারিয়ে গিয়েছে। এগুলো পুনরুদ্ধানের পথ আমাদের অনুসন্ধান করতে হবে।
‘ভেঙ্গে ফেল্ বন্দিশালা রুদ্ধ কারাগার মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমার অধিকার’- গানকে সামনে রেখে ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার। অনুষ্ঠানের শুরুতে বিশ^বিদ্যালয়ের বিজয়-৭১ ভাস্কর্যের সামনে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ছাত্র ইউনিয়নের দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিদের অংশগ্রহণে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি বিজয়-৭১ ভাস্কর্যের সামনে থেকে শুরু হয়ে কে. আর. মার্কেট, আব্দুল জব্বার মোড় হয়ে মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়।
প্রধান অতিথি ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার বলেন, বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে মুক্ত করতেই শুরু হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধ। দুঃখের বিষয় হলো আজকের ছাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি নাই। আজকের ছাত্র ইউনিয়নের সংগ্রাম হবে সংস্কৃতির সংগ্রাম, অধিকারের সংগ্রাম। আমরা দেশের সকল উন্নয়ই করছি। কিন্তু গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলেছি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি হারিয়েছি। নেতাদের ছাত্র বান্ধব হতে হবে। প্রত্যেকের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে হবে। বর্তমানে দেশের শিক্ষার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। সংস্কৃতি ছাড়া শিক্ষিত জাতি গড়া সম্ভব নয়। অক্ষরজ্ঞান, সনদ অর্জন সহজ কিন্তু প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া কঠিন। সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়া শিক্ষাকে বাচানো সম্ভব না।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরোও উপস্থিত ছিলেন শ্যামল বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল আলম এবং ছাত্র ইউনিয়ন বাকৃবি সংসদের প্রায় অর্ধ শতাধিক কর্মী।