বেশ কয়েকদিন যাবত আবারও ফিলিস্তিনিদের উপর হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে আকাশ থেকে ও স্থল সেনা ব্যবহার করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। গত ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় এ হামলায় জেনিনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে অনেকে ভর্তি আছেন হাসপাতালে ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই সংখ্য আরও বাড়বে।
সোমবার (৩ জুলাই) রাত ১টায় জেনিনে প্রথম হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। যা ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলছে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের এ কথিত অভিযান শেষ হতে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী চলমান এ হামলাটিকে ‘বিশাল সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তবে ফিলিস্তিনিরা দাবি করেছেন, সেখানে ইসরায়েলি বাহীনি নৃসংসতা চালাচ্ছে ।
জেনিনে সোমবার হামলা চালাতে ইসরায়েলিরা দুই বিগ্রেড— অর্থাৎ ১ থেকে ২ হাজার সেনা পাঠায়। তাদের সহায়তা করতে সাথে পাঠানো হয় সাঁজোয়া বুলেডোজার ও স্নাইপার। এছাড়া জেনিনের বিভিন্ন ভবনে হামলা চালাতে ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে তারা।
জেনিনে প্রবেশের সময় সশস্ত্র ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ইসরায়েলিরা। তখন দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ হয়। পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে গত কয়েক মাস ধরে ঘন ঘন হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলিরা। তাদের দাবি, এখানে সশস্ত্র কার্যক্রম চালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা।
২০০২ সালে দ্বিতীয় ইনতিফাদার সময়, সর্বশেষবার জেনিনে একসঙ্গে সেনা ও আকাশ শক্তি ব্যবহার করেছিল ইসরায়েল। এক সপ্তাহ ধরে চলা সেই যুদ্ধে ৫২ ফিলিস্তিনি ও ২৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়। যার মধ্যে একটি ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ১৩ ইসরায়েলির।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করে জেনিনে এ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এতে সম্মতি জানিয়েছে; কারণ সশস্ত্র দলগুলোর কাছ থেকে সাধারণ ইসরায়েলিদের রক্ষার বিষয়টিকে সমর্থন জানান।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান