এই পৃথিবীতে আজব অনেক কিছুই ঘটে। তেমনই একটি আজব ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোতে। সৌভাগ্য লাভের আশায় সেখানকার একটি শহরের মেয়র বিয়ে করেছেন একটি কুমিরকে। দক্ষিণ মেক্সিকোর সান পেড্রো হুয়ামেলুলা শহরের মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তিনি বিয়ে করেছে যদিও একটি মেয়ে কুমিরকে।
ঐতিহ্যবাহী এই অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত ছিলেন অনেকেই। বিশ্বাস করা হয়, কুমিরকে বিয়ে করলে সৌভাগ্য আসে। স্থানীয় বিদ্যায় কুমির ‘রাজকন্যা মেয়ে’ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে। বর-কনেকে আশির্বাদ করতে বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন মেয়রের পরিবারসহ আরো অনেকেই।
কয়েক শত বছর ধরে চলে আসা ওক্সাকা রাজ্যের চন্টাল এবং হুয়েভ আদিবাসীদের মধ্যে এই রীতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই বিয়ের আয়োজন। তাদের মতে এই বিয়ে হুয়েভ এবং চন্টালদের মধ্যে সম্পর্কের প্রতিফলন। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধ দুর করতেই শতশত বছর যাবত এই আয়োজন হয়ে আসছে।
এখন প্রশ্নটা হলো, বিয়ের কনে কুমির কেন? উত্তর দিয়েছেন বর। তিনি বলেন, আমাদের জন্য কুমির খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাকে রানী বা রাজকুমারী বলে মনে করা হয়। সে আমাদের জন্য বৃষ্টি, পানি এবং সৌভাগ্য বয়ে আনবে বলে বিশ্বাস আমাদের। তাই ভালো ফসল এবং মাছ পাবার আশায় এমন বিয়ের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
আদিবাসী সমাজে বিয়ের এই প্রথাটিতে ক্যাথলিক নিয়মের সাথে জুড়ে দিয়ে আয়োজন হয় বিয়ের অনুষ্ঠান। কনের বিয়ের পোশাক থেকে শুরু করে পুরো আয়োজনে করা হয়, বিশ্বাসের রীতি মেনে। কনের ঠোঁটে চুমু দিয়ে শেষ হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। যদিও কুমিরের কামড় থেকে বাঁচতে বরের সুরক্ষায় বাঁধা থাকে মুখ। এরপর কুমির বউকে কোলে নিয়ে নেচে গেয়ে গ্রাম ঘুরে বেড়ান বর।