তাফহীমুল আনাম, কক্সবাজারঃ গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহ আর প্রখর রোদে জনজীবন যখন অতিষ্ঠ তখন বর্ষার আগমনে প্রকৃতিকে শীতল, সতেজ, স্নিগ্ধ, কোমল আর উজ্জ্বল করে নব যৌবনে আগমন করেছে বর্ষা ঋতু। সমুদ্র সৈকতও বর্ষায় অন্য এক রূপ জানান দিচ্ছে। এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে বর্ষার সৌন্দর্য দেখতে ঘুরার জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে কক্সবাজার। ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে পর্যটক বরণে প্রস্তুত পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
প্রতিবছর ঈদের আগে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে থাকলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইতোমধ্যে ৫ শতাধিক হোটেল -মোটেলে রুম বুকিং হয়েছে মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। তবে ঈদের পরের দিন থেকে পর্যটকদের সমাগম বাড়তে পারে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম জানান, ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদচারণায় আবারও চিরচেনা রূপে ফিরবে সৈকতসহ পর্যটন এলাকা। নিরাপত্তা জোরদার করে পর্যটকদের সেবা দিতে প্রস্তুত আমরা। এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
শেহরিন আলম জানান, সৈকত ছাড়াও অন্যান্য পর্যটন স্পটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ সৈকতের প্রবেশপথে তল্লাশিচৌকি স্থাপন, সৈকতে পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। সৈকতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য দল গঠন করা হয়েছে।
টানা ঈদের ছুটিতে আবারও পর্যটকে মুখরিত হবে কক্সবাজার, সুনিল জ্বলের স্পর্শে লোনা জ্বলে উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হবে পর্যটকরা এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।