The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

টাইমস হায়ার র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান পায়নি রাবি, প্রশ্নবিদ্ধ মূল্যায়ন বলছে প্রশাসন

রাবি প্রতিনিধি: এশিয়ার ৩১টি দেশের ৬৯৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়নের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং-২০২৩’ প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে। এছাড়া আরও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকায় থাকলেও কোথাও নাম খুঁজে পাওয়া যায়নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছেন, এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ মূল্যায়ন। ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’-এর সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়ালি কোনো যোগাযোগ নাই। তারা কোন নিয়ামকের ভিত্তিতে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে তা প্রশাসনের জানা নাই। র‍্যাঙ্কিং প্রকাশের আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে কোনো তথ্য চাইনি।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) প্রকাশিত এই তালিকায় দেশের বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে শীর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। দেশের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এবারই প্রথম বারের মতো এ র‍্যাঙ্কিংয়ে অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় হয়ে প্রথমবারই করেছে বাজিমাত। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এর নাম এসেছে র‍্যাঙ্কিয়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টাইমস হায়ার এডুকেশন প্রকাশিত এযাবৎ যত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান একেবারেই নেই। ২০২৩ সালে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাঙ্কিয়ে দেশের ১২টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা করে নিলেও নাম আসেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের। তার আগে, ২০২২ সালে দেশের মোট ৬টি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আসলেও তালিকাভুক্ত হয়নি প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ খ্যাত এ শিক্ষালয়ের। এছাড়া ২০২১ সালে প্রকাশিত র‍্যাঙ্কিয়ে নাম আসেনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের।

এ বিষয়ে আইবিএ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. হাসানাত আলি বলেন, প্রথমে দেখতে হবে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান আগে আদৌ কোনো র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে কি না। তবে হ্যাঁ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নত হয়েছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু সেই অর্থে গবেষণা খাতে বরাদ্দ একেবারেই অপ্রতুল। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি ভালো র‍্যাংকিং করতে হয় তাহলে তার মূল উপলক্ষ্য হতে হয় ভালো মানের গবেষণা। যেটি সমাজ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া জ্ঞান-বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা যেমন ওয়ার্কশপ, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম নিয়োমিত আয়োজন করা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে এগুলো হচ্ছে না তা নয়, কিন্তু আন্তর্জাতিক মানের সেমিনার বেশি বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি কাদের তথ্যের ভিত্তিতে এই র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে তা আমাদের জানা নেই। তাছাড়া তারা র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করার জন্য আমাদের কাছে কোনো তথ্য চাইনি। তাদের সাথে আমাদের অফিসিয়ালি কোনো যোগাযোগ নেই। কিছুদিন আগেও ওয়েবমেট্রিক্সের বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং ২০২৩-এর সংস্করণে (জানুয়ারি) দেশের মধ্যে রাবির অবস্থান দ্বিতীয়। তাহলে টাইমস হায়ার এডুকেশনের র‍্যাঙ্কিয়ে রাবির নাম নেই কেন? যারা এই র‍্যাঙ্কিং করেছে তাদের আসলে র‍্যাঙ্কিং আছে কি না সেটা দেখার বিষয়। তারা আমার বিশ্ববিদ্যালয়কে যেখানে সেখানে স্থান করিয়ে দিবে, সেটা তো আমরা অতি সহজে মেনে নিব না।

তিনি আরো বলেন, তবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো অনেক কিছুর ঘাটতি আছে। সেইগুলো তারা তুলে ধরুক, এবং র‍্যাঙ্কিং করতে হলে কী কী করতে হবে সেগুলো আমাদের না জানিয়ে র‍্যাঙ্কিং করে দিবে এটা তো মানা যায় না। এই র‍্যাঙ্কিং কোনো নিয়ামক সম্পর্কে আমাদের ধারণা নাই। গত বছর গবেষণায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক নম্বরে অবস্থান করেছে। তাহলে গবেষণা তো কম হচ্ছে না। এটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ মূল্যায়ন।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.