একটা হিরোর কিছু মেয়ে ভক্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক- জায়েদ খান
কারণে অকারণে বছরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন জায়েদ খান। তার বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে বিভিন্ন সময়। সম্প্রতি আবারও তার বেশ কিছু বক্তব্য আবার আলোচনার সৃষ্টি করেছে, তিনি আবারও এসেছেন আলোচনায়। যা নিয়ে বেশ অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। দিয়েছেন ব্যাখ্যাও।
ঢাকায় সিনেমার এই নায়ক সম্প্রতি বলেন, মেয়েরা তার প্রেমে পাগল। অনে মেয়েই টাকার বিনিময়ে তার সঙ্গে সময় কাটাতে চান। জায়েদ আরও বলেছিলেন, একটি মেয়ে ৫ টি সিনেমার পারিশ্রমিকের টাকা দিয়ে তার সঙ্গে সময় কাটানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন।
এমন বক্তব্যের জেরে বেশ ট্রোলের মুখে পড়েছেন এই নায়ক। যার কারণে সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ বিষয়ে আবারও কথা বলেছেন এবং নিজের অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমি পরিষ্কার করতে চাই। কিছু শ্রেণীর মানুষ একটা বাজে ব্যাখ্যা দিচ্ছে যে, আমি একটি মেয়ের কথা বলেছি, সে পাঁচটা সিনেমার টাকা কিনে নিয়েছে, আমার সঙ্গে রাত্রি যাপনের জন্য বলেছে। এ ধরনের কোনো কথাই বলিনি। এটা একটা নোংরামি, বাজে কথা। অনেক মেয়েরা হয় না যে পছন্দের নায়কের সঙ্গে কথা বলতে চায়। কিন্তু আমি সব সময় তাকে এড়িয়ে চলেছি, বলেছি যে আমি ব্যস্ত।
জায়েদ বলেন, ‘মেয়েটি আমাকে বলেছে যে, আমি আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই, আপনার সম্পর্কে জানতে চাই, আপনি সিনেমায় কত টাকা নেন, কিভাবে সিনেমায় এলেন সেই গল্পটা আমি জানতে চাই, এর জন্য দরকার পড়লে আপনার ৫টা সিনেমার শিডিউল আমি কিনে নেব।
এ কথাগুলো মেয়েটি তো ভালোভাবে বলেছে। বাজে কিছু বলেনি। সেটাকে কিছু সুশীল লোক, কিছু ইউটিউবাররা, ভিউ বাড়ানোর জন্য বাজেভাবে রিপ্রেজেন্ট করছে। এটা খুব খারাপ, খুবই খারাপ। একটা হিরো বা খেলোয়ারের কিছু মেয়ে ভক্ত থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক।
যারা তাকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ বলে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করছেন তাদেরও এক হাত নিয়েছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘‘আমি এই কথাগুলো বলেছিলাম সরল মনে। কেউ কেউ এটাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছে। কেউ কেউ বলছে এটা জায়েদ খানের মানসিক রোগ। কেউ কেউ এটাকে ‘ইরোটোমেনিয়া’ নামে একটি রোগ হিসেবে নাম দিয়েছে। তারাই মানসিকভাবে অসুস্থ। আমার মনে হয়, তাদেরই মানসিক রোগের ডাক্তারের কাছে আগে যাওয়া উচিত।’’