জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সার্বিক উন্নয়নে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১০ টি দাবি উপস্থাপন করেছে।
বৃহস্পতিবার নীলদলের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. নাফিস আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব দাবি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উপাচার্যের নিকট লিখিত আবেদনও করা হয়েছে।
দাবিগুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত বঙ্গবন্ধু চেয়ার হিসেবে উচ্চ মেধাসম্পন্ন যোগ্য এবং দক্ষ কোন শিক্ষাবিদকে দ্রুত নিয়োগ প্রদান। শিক্ষকদের শিক্ষাছুটি সংক্রান্ত চলমান জটিলতা (শিক্ষামন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে) নিরসনকরতঃ বর্তমানে ছবিতে প্রচলিত শিক্ষাছুটি নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তাছাড়া এ সংক্রান্ত প্রচলিত বিধি সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রয়োগে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
এছাড়াও হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গনযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রয়াত শিক্ষক অধ্যাপক মীর মোশাররফ হোসেন (রাজীব মীর) এর পরিবারকে তাঁর চাকরির সকল আর্থিক সুবিধা প্রদানের বিষয়টি দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল পদে (প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর এবং হিসাব পরিচালক) নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য নিয়োগ প্রদান, দর্শন বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক ড. নুরুল মোমেন এর পেনশন সংক্রান্ত বিষয়টি বিধি মোতাবেক নিষ্পত্তির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন এবং সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষক সমিতি কর্তৃক ইতোপূর্বে পেশকৃত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মচারীর কল্যাণার্থে অবসর ভাতা, গোষ্ঠী বীমা, কল্যাণে ও ভবিষ্য তহবিল গঠন সংক্রান্ত প্রভাবিত সংবিধিসমূহের অনুমোদন এবং তা কার্যকরের ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীলদল।
এছাড়াও শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাতা সংক্রান্ত অডিট আপত্তি নিষ্পত্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষকদের বিভিন্ন পরীক্ষার পারিতোষিকের বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্তৃক ইতোপূর্বে পেশকৃত প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বকেয়া বিলসমূহ দ্রুত প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, সেশনজট নিরসনের ব্যাপারে বিভিন্ন একাডেমিক বিভাগসমূহকে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করার দাবিও জানানো হয়েছে।