সাকিবুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) তে গুচ্ছ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রের বাইরে উৎকণ্ঠায় অপেক্ষায় অভিভাবকরা। ভেতরে কঠোর নজরদারির মধ্যে পরীক্ষা চললেও বাইরে ভিড় জমিয়েছেন স্বজনরা।
শনিবার (২০ মে) সকাল ১০ টায় ক্যাম্পাসের আশেপাশে এ চিত্র দেখা গেছে।
দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা আজ। মানবিক বিভাগের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় গুচ্ছ ভর্তিযুদ্ধ।
সরজমিনে দেখা গেছে, ভেতরে পরীক্ষা চলতে থাকলেও কেন্দ্রের বাইরে যেন ভিন্ন এক পরিবেশ। পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে আসা অভিভাবকদের কারও হাতে তসবিহ, কেউবা হাত তুলে করছেন দোয়া, কেউ কেউ মানসিক চাপ কমাতে করছেন পায়চারি। বাবা, মা ও স্বামীসহ সব অভিভাবকরাই যেন একরকম উৎকণ্ঠা নিয়ে এভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষায় রয়েছেন।
এ দিন সকাল ১০টার পর পর কেন্দ্রে শিক্ষার্থীরা এসে উপস্থিত হতে শুরু করেন। প্রতিটা শিক্ষার্থীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও কেন্দ্রগুলোতে এসে হাজির হন। পরে ছেলে ও মেয়েদের আলাদা লাইনের মাধ্যমে তল্লাসী করে ভেতরে প্রবেশ করানো হয়।
আসন খুঁজে দিতে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যরাও ভেতরে প্রবেশ করতে চাওয়ার দৃশ্যও দেখা গেছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিএনসিসির সদস্যদের বাধার মুখে তারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন।
কেন্দ্রের সামনে দেখা যায়, পরীক্ষার্থীরা হলে ঢুকে যাওয়ার পর থেকেই সেখানেই অবস্থান করছেন অনেক অভিভাবক। কেন এই উদ্বিগ্নতা জানতে চাইলে তারা জানিয়েছেন, ‘সন্তানরা ঠিকমতো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষার হলে ঢুকলেও অস্থিরতা উদ্বিগ্নতা লাগে। এছাড়া ছেলেমেয়েরা পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নিলে টেনশন কাজ করে।’
নুসরাত জাহান নামের আরেক পরীক্ষার্থীর মা রওশন আরা। তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসেছে আমার মেয়ে। তাই কিছুটা টেনশন হচ্ছে। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত টেনশন থাকবেই। টেনশন কমাতে ও মেয়ের পরীক্ষা যেন ভালো হয় সেজন্য দোয়া করছি। যাদের সন্তান পরীক্ষা দিচ্ছে তারাই বোঝে এ টেনশন কেমন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন জানান, ঢাকাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাড়াও তিনটি উপকেন্দ্র উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, নটরডেম কলেজ ও উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও আসন বিন্যাস করা হয়েছে। এর মধ্যে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পরীক্ষা দিচ্ছেন ৩ হাজার ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী, নটরডেম কলেজে ৩ হাজার ১০৪ জন ও উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১ হাজার ৭২০ জন শিক্ষার্থী।