কলম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনার প্রায় তিন সপ্তাহ পর চার শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। দাক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটির ঘন জঙ্গলের ভিতর থেকে দুর্ষটনার তিন সপ্তাহ পর এই উদ্ধারের বিষয়টি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। উদ্ধারকৃতদের মধে ১১ মাস বয়সী এক শিশুও আছে। এমনটিই জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১ মে বিমানটি দেশটির দক্ষিনাঞ্চলের জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয়। বিমান দুর্ঘটনার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর কলম্বিয়ার একটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের চার শিশুকে দেশটির দক্ষিণের জঙ্গল থেকে জীবিত পাওয়া গেছে বলে বুধবার জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো।
রয়টার্স তার প্রতিবেদনে বলছে, কলম্বিয়ার কাকুয়েটা প্রদেশের ঘন জঙ্গলে সামরিক বাহিনীর সদস্য, দমকলকর্মী এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত দল শিশুদের উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত শিশুদের মধ্যে ১১ মাস বয়সী এক শিশুও রয়েছে।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, সেসনা ২০৬ মডেলের এই বিমানটি গত ১ মে কলম্বিয়ার আমাজোনাস প্রদেশের আরাকুয়ারা থেকে সাতজন আরোহী নিয়ে গুয়াভিয়ার প্রদেশের সান জোসে দেল গুয়াভিয়ার শহরে যাচ্ছিল। মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় বিমানটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে এবং বিপদ বুঝতে পেরে বিমানটি থেকে থেকে মে-ডে সতর্কতা জারি করা হয়।
দুর্ঘটনার ফলে পাইলটসহ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছিলেন এবং তাদের মৃতদেহ বিমানের ভেতরে পাওয়া যায়। আর ১৩, ৯ এবং ৪ বছর বয়সী তিন শিশুর সঙ্গে ১১ মাস বয়সী এক শিশুও এই দুর্ঘটনায় বেঁচে যায়।
এই উদ্ধার কাজে সংশ্লিষ্টরা বলছেন দুর্ঘটনার পর এই শিশুরা বিমান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল এবং সাহায্যের খোঁজে জঙ্গলের ভেতরে ঘোরাঘুরি শুরু করে। এছাড়া শিশুদের খোঁজ পাওয়ার আগে জঙ্গলে তাদের বেঁচে থাকার জন্য খেয়ে ফেলে দেওয়া ফলের অবশিষ্টাংশ এবং সেইসাথে জঙ্গলের গাছপালা দিয়ে তৈরি আশ্রয়ও খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারীরা।