মো: আবদুল আল মামুনঃ হাটি হাটি পা পা করে ১০ বছর পেরিয়ে ১১ বছরে পদার্পন করেছে চট্টগ্রামের সনামধন্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। গতকাল ১৭ই মে উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণের অঙ্গিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্য সামনে রেখে জাঁকজমকভাবে ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। সকাল ১০:০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরল আনোয়ারের নেতৃত্বে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এই আয়োজন শুরু করেন।
এ উপলক্ষে এক বার্তায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপ-মন্ত্রী এবং পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিটির প্রতিষ্ঠাতা এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি এবং পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান তাহমিনা খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শুভনুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. গণেশ চন্দ্র রায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মফজল আহমেদ, ব্যবসায় অধ্যয়ন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ ফসিউল আলম, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মাইনুল হাসান চৌধুরী, বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ ওবায়দুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব মোঃ সেলিম হোসেন, প্রক্টর এস এম ওসমান গণি, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা, বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি, বিভিন্ন ফোরামের কো- অর্ডিনেটর, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রথম থেকেই আমরা মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ, আধুনিক সিলেবাস অনুসরণ, আধুনিক ল্যাব এবং লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার দিকে জোর দিয়েছি। শিক্ষার আধুনিকায়ন এবং মান নিশ্চিতকরণে কঠোর নজরদারির কারণে পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটি মাত্র ১০ বছরেই অনেক বেশি টেকসই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে আমরা এ আশাই করি। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষা ও গবেষণা খাতে উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ^জুড়ে অর্থনৈতিক ও উৎপাদন খাতে যে ব্যাপক রূপান্তর চলমান তা মোকাবিলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করতে বিশ্বদ্যালয়টি প্রতিবছরই বিভিন্ন কনফারেন্স, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করে থাকে।
অনুষ্ঠানে বেলুন ও পায়রা ওড়ানোর পর কেক কাটা হয় এবং চট্টগ্রামের সুস্বাধু মিষ্টি শিক্ষক শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। উপলক্ষে বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয় হল রুমে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন ডিজেল কলোনি মসজিদের ঈমাম ও খতিব জনাব মাওলানা এবিএম আমিনুর রশিদ।