রাজধানী মিরপুরের বাসিন্দা সাবিহা রহমান নিতু সামাজিক কাজে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নামে বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা অনুদান প্রদান করেন। কিন্তু তার অনুদানের ওই টাকার কোন তথ্য অডিট রিপোর্টে না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কিশোর কুমারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সাবিহা বহমান নিতু তার আইনজীবী মো. হায়দার তানভীরুজ্জামানের মাধ্যমে এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশ থেকে জানা যায়, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। সংগঠনটি তাদের বিভিন্ন কাজের ছবি ও ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। ফলে সাধারণ মানুষ প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে অর্থ প্রদান করে থাকেন। চলমান সামাজিক কাজে অংশ নিতেই সাবিহা রহমান নিতু ফাউন্ডেশনের অ্যাকাউন্টে দুই দফায় ৪০ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করেন।
নোটিশে আরও বলা হয়, কিছু দিন ধরে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে কিছু অভিযোগ উপস্থাপিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন অনিয়ম ও টাকার সঠিক ব্যবহার না করার অভিযোগ এসেছে। কিন্তু এসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
লিগ্যাল নোটিশে কিশোর কুমারের উদ্দেশে বলা হয়, অডিট রিপোর্টে আপনার প্রতিষ্ঠান সকল ব্যয়ের খাত স্পষ্টভাবে উল্লেখ রাখে। কিন্তু রিপোর্ট চেক করেও আমার মক্কেল তার প্রেরিত অর্থের কোনো তথ্য পাননি। তার অর্থ কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে সেটা বার বার জানতে চাওয়া সত্ত্বেও কোনো সদুত্তর দেননি।
তাই এই নোটিশ পাওয়ার পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে তার সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করবেন। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে, রাজধানীর বঙ্গবাজারের পোড়া কাপড় দিয়ে তৈরি অলংকারে অন্যের ছবি ব্যবহার ‘মজিদ চাচা’ ও গরুর ছবি নিয়ে দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনকে নিয়ে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়েও অনেকে অভিযোগ কিংবা সমালোচনা করছেন। এসব সমালোচনা নিয়ে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কিশোর কুমার দাস নিজের বক্তব্য দিয়েছেন। গত ১৮ এপ্রিল রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের লাইভে এসে বিদ্যানন্দের বিরুদ্ধে ওঠা প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন কিশোর কুমার দাস।