অন্যের হয়ে বিসিএস পরীক্ষায় বসলে দুই বছরের জেল
বিসিএস পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে পিএসসির অর্ডিন্যান্স ১৯৭৭ আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে বিশেষ আইন পাস করা হয়েছে যা ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করে পিএসসি। নতুন আইনে ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসাবে কেউ ধরা পড়লে বা প্রমাণিত হলে জেল-জরিমানর বিধান রাখা হয়েছে।
বিসিএসের ৪৫তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার আগেই এই আইন পাস করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আইনে বলা হয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তি পরীক্ষার্থী না হওয়ার পরও নিজেকে পরীক্ষার্থী হিসেবে হাজির করে বা পরীক্ষার্থী বলে ভান করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার হলে প্রবেশ করলে বা অন্য কোনো ব্যক্তির নামে বা কোনো কল্পিত নামে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলে এটি অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ অপরাধের জন্য ওই ব্যক্তিকে অনধিক দুই বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।
মূলত এর আগে এ বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা ছিল না। ফলে পরীক্ষায় অসৎ পন্থা অবলম্বন ও পরীক্ষায় ভুয়া পরীক্ষার্থী ধরা পড়লেও যথাযথ আইন না থাকায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত না। এখন থেকে এ আইনের আওতায় ভুয়া পরীক্ষার্থীদের দুই বছর পর্যন্ত কারাবাসের সাজা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এছাড়া অর্থদণ্ড বা কারাবাসসহ দুই ধরনের সাজা দেওয়া যাবে। এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষায় বাইরে থেকেও খাতা এনে মূল খাতার সঙ্গে যুক্ত করলেও শাস্তির মুখে পড়তে হবে পরীক্ষার্থীদের।