কক্সবাজার প্রতিনিধিঃ একটি সরিষার তেলের মেশিনের বদৌলতে জিল্লুর রহমানের জীবনের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে বিদ্যুৎ গতিতে। দুশ্চিন্তা হতাশা থেকে বের হয়ে মাত্র দেড় বছরের মাথায় স্বাবলম্বী হয়ে উঠে এই যুবক। ৫০ হাজার টাকা পূঁজি নিয়ে শুরু করেন জিল্লুর সরিষার তেলের ফ্যাক্টরী। তার প্রোডাক্টের নাম জিমি খাঁটি সরিষার তেল।
কক্সবাজার জেলার চকরিয়া বরইতলীতে গ্রামের বাড়ির পার্শ্ববর্তী এলাকায় গড়ে তুলেছেন তেঁতুল গাছের ঘানি ভাঙ্গা সরিষার তেলের অয়েলমিল। তার ব্যবসা ক্রমাগতভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি এখন গাড়ি, বাড়ি, মাছের ঘেরসহ অঢেল সম্পদের মালিক । মাত্র দেড় বছর আগেও পল্ট্রিফার্মে বড় ধরণের লোকসান দিয়ে দিশেহারা হয়ে যান জিল্লু । প্রবল ইচ্ছা শক্তি, অদম্য সাহসের উপর ভর করে জিমি খাঁটি সরিষার তেলের ফ্যাক্টরীর মাধ্যমে ৩৪ বছর বয়সী জিল্লুর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে যায়। তার মিলে প্রস্তুতকৃত বোতলজাত জিমি খাঁটি সরিষার তেল কক্সবাজারের গন্ডি ছাড়িয়ে চট্টগ্রামের অলি গলিতে পৌঁছে যাচ্ছে। গুণ ও মানে সুনাম অর্জন করেছে জিমি সরিষা তেল।
জিল্লুর খাঁটি সমৃদ্ধ এই তেল পৌঁছে দিতে চান সারাদেশে। এ জন্য এই অয়েলমিল আরো সম্প্রসারণ করে বৃহত্তর পরিসরে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর তিনি ।
জিল্লুর রহমান বলেন, এই অয়েল মিল আমার জীবনের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছে। বেকার জীবন থেকে মুক্তি লাভ করতে মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন আমার কোটি টাকার ব্যবসা। পরিশ্রম আর সততা আমাকে সফলতা এনে দিয়েছি। স্বাস্থ্য সম্মত,পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ভোজ্য তেলের চাহিদা মেটাতে জিমি খাঁটি সরিষার তেলের যাত্রা। তার ব্যবসার সাথে জড়িয়ে শতাধিক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে।কক্সবাজার শহর ঈদগাহ, চকরিয়া,বরইতলী, চট্টগ্রাম লোহাগাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক শোরুম। এমনকি অনলাইনে ও চলছে জিমি সরিষার তেলের জমজমাট ব্যবসা।