The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রবেশপত্র নিয়েই পরীক্ষা দিয়েছেন সেই সুমাইয়া

স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহনের অনিশ্চয়তা কেটেছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের। রোববার (৩০ এপ্রিল) শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশও নিয়েছে সে।

সুমাইয়া আক্তার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সরকার পাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে। সে তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি বালাবাড়ির দাখিল মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী। সুমাইয়ার বাবা গোলাম মোস্তফা জানান, সমস্যা সমাধান হয়েছে। মেয়ে পরীক্ষা দিতে পারছে।

রোববার সকাল ১০টায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শওকত আলী। তিনি বলেন, সুমাইয়ার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড করে আনা হয়েছে। সকাল ১০টায় সে পরীক্ষায় অংশ নেয়। পরীক্ষা সুষ্ঠু সুন্দরভাবে হচ্ছে।

তেঁতুলিয়ার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হক  বলেন, প্রশাসনের তৎপরতায় শিলাইকুঠি দাখিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার পরীক্ষা দিচ্ছে। মূলত ভুলটি ওই মাদরাসা সুপারের। তার ভুলের কারণে সুমাইয়ার পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাতেই বোর্ডে রেজিস্ট্রেশন করে সকাল ৯টায় এডমিট পেয়েছে। তাছাড়া গতকালকে ওই শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দিতে যথা সময়ে আসতে বলা হয়েছিল।

এর আগে গতকাল শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার মাদরাসায় প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন নিতে গেলে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপ হয়নি। এ জন্য মাদরাসার সুপার বদরুল আলম সরকার তাকে এক বছর অপেক্ষা করতে বলেন ও ভুলের জন্য ক্ষমা চান।

তিন মাস আগে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ২ হাজার ৫০০ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাদরাসার সুপার বদরুল আলম সরকারের কাছে জমা দেয় সুমাইয়া। সে হিসেবে পরীক্ষার সব প্রস্তুতি নেয় সে। শনিবার সকালে মাদরাসায় পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড নিতে গিয়ে জানতে পারে তার ফরম ফিলাপ হয়নি। অথচ শনিবার সকালেও প্রবেশপত্রের জন্য তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন মাদরাসার সুপার।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.