The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪

বছর না ঘুরতেই সাতক্ষীরার চেহারা বদলে দিয়েছেন এসপি মনিরুজ্জামান

গত বছরের আগস্ট মাসের ২৩ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম। সেই হিসেবে আট মাস আগে পুলিশ সুপার হিসেবে সাতক্ষীরায় যোগদান সম্মন্ন করেন কাজী মনিরুজ্জামান।

যোগদানের পর থেকেই জনসাধারণের দোরগোড়ায় পুলিশিং সেবা পৌঁছে দিতে তার নেতৃত্বে রাত-দিন নিরলস কাজ করছে জেলা পুলিশ। তার প্রচেষ্টায় জেলা পুলিশের সর্বস্তরে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। এসেছে স্বচ্ছতা। যার প্রমাণ মেলে চলতি বছর মে মাসের ১৫ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নিরপেক্ষতায় বিনা টাকায় ৭৬ জনকে কনস্টেবল পদে চাকরি প্রদানের মধ্য দিয়ে।

পুলিশের সাথে সাধারণ জনগনের দূরত্ব ঘুচিয়েছেন তিনি। ফলে সাধারণ মানুষও নির্দ্বিধায় তার কাছে যেতে পারেন নানান অভিযোগ ও সমস্যা নিয়ে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই পুলিশ নিয়ে মানুষের মনে যে নেতিবাচক ধারণা ছিল তা পাল্টে দিতে পেরেছেন তিনি। সাতক্ষীরাবাসীর মুখে মুখে পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের প্রশংসা প্রায়ই শোনা যায়।

যোগদানের পর থেকে পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও জেলাবাসীর কল্যাণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষও তাকে আপন করে নিতে দেরি করেনি।

পুলিশ সুপারের সঙ্গে যদি কোনো ধনী লোক ও গরিব লোক দেখা করতে যান, তাহলে পুলিশ সুপার সবার আগে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখেন। বৃদ্ধ লুঙ্গি পরা যে লোকটি দাঁড়িয়ে আছেন তাকে আগে দেখা করার সুযোগ দেন। শুধু তাই নয়, পুলিশ সুপার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে ওই অসহায় মানুষটির সমস্যার কথা শোনেন ধৈর্য্য ধরে। এটা পুলিশ সুপারের নিত্য দিনের কাজ।

অসহায় মানুষ সব সময়ই কাছে পায় এই মানবিক পুলিশ সুপারকে। আবুল হোসেন নামক এক বৃদ্ধ বিদেশ যাওয়ার নাম করে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা এক প্রতারককে দিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন। সেই টাকা উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধকে ফেরত দেন পুলিশ সুপার।

জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতেও নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান এই পুলিশ সুপার। তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যোগদানের পর বিগত ৮ মাসে জেলার আটটি থানায় পুলিশ সুপারের তদারকিতে ৬৯২টি মামলা হয়েছে। এরমধ্যে নাশকতা মামলা ২০টি, বিস্ফোরক দ্রব্য মামলা ৩টি, অস্ত্র মামলা ১২টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৬১৮টি এবং চোরাচালান মামলা ৩৯টি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নেও সদা তৎপর পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। তার নির্দেশে ও তদারকিতে হওয়া বিভিন্ন অভিযানে মাদকদ্রব্যের মধ্যে ফেন্সিডিল ১৭৮ বোতল, গাঁজা ৭৬ কেজি ৮১৩ গ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট ৯ হাজার ৩২৭ পিস, ট্যাফেডাল ট্যাবলেট ৯ হাজারব ৩২০ পিচ, ভারতীয় মদ ৮৪ বোতল ও দেশি মদ ৩২ লিটার উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া চোরাচালানের সময় স্বর্ণের বার ২৪ পিস, রূপা ৪৭ কেজি ৪৫ গ্রাম, ফেন্সিডিল ৫৯৯ বোতল, পাতার বিড়ি ৬৮ প্যাকেট, ভারতীয় মদ ৩ বোতল, ভারতীয় শাড়ী ২৫ পিস, ভারতীয় ক্রিম ১৬ পিস, মোবাইল ফোন ৪টি জব্দ করা হয়েছে। তাছাড়া ডাকাতি মামলায় ২১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

পুলিশ সুপারের যোগদানের পর থেকে জেলার ট্রাফিক বিভাগও আগের চেয়ে বেশি সক্রিয়। পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় ট্রাফিক পুলিশ শহরের প্রধান প্রধান সড়কে সিমেন্টের রিং বসিয়ে রাস্তা ক্রসিং চলাচল পথ নির্ধারণ করেছে। এতে করে সড়কে আগের তুলনায় দুর্ঘটনা কম ঘটছে।

সাতক্ষীরায় পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে জেলাবাসিকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কোনো অপশক্তি যাতে সাতক্ষীরায় মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া মাদক এবং চোরাচালান বন্ধে জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে জেলা পুলিশের কার্যক্রম আরও এগিয়ে যাবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.