বিরাট কোহলি ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মধ্যেকার সম্পর্কের তিক্ততা কি এখনও আছে? ঘটনা পরমপরা তো তাই ইঙ্গিত করে। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচে এবার সেটাই সামনে চলে এলো। ম্যচের গুরুত্বপূর্ন সময়ে ক্যাচ লফে নিয়ে মাঠেই সৌরভকে রক্তচক্ষু দেখালেন বিরাট। ঘটনার রেশ ধরে খেলা শেষে আবার বিরাটের সঙ্গে হাত মেলালেন না সৌরভ!
প্রথম ঘটনা দিল্লির ইনিংসের ১৮তম ওভারে। আরসিবির বিরুদ্ধে ১৭৫ রান তাড়া করতে নেমে তখন চাপে দিল্লি। অমন হাকিম খান ভাল খেলছিলেন। ১০ বলে ১৮ রান করে আউট হন তিনি। অমনের ক্যাচ ধরেন বিরাট। তার পর দিল্লির ডাগআউটের দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকান তিনি। সেখানে তখন বসে রয়েছেন দলের ‘ডিরেক্টর অব ক্রিকেট’ সৌরভ।
সেই সময় সৌরভ পাল্টা কোনও অভিব্যক্তি না দিলেও ম্যাচ শেষে বোঝা যায় যে তিনিও বিরাটের সঙ্গে কথা বলতে চান না, এড়িয়ে চলতে চান বিরাটকে। ম্যাচ শেষে দু’দলের ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা একে অপরের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছিলেন। সৌরভের ঠিক সামনেই ছিলেন দিল্লির কোচ রিকি পন্টিং। তিনি যখন বিরাটের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন, তখন পন্টিংকে টপকে বিরাটের পরে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রিকেটারের সঙ্গে হাত মেলান সৌরভ। ফলে দু’জনের সাক্ষাৎ হয়নি।
ম্যাচ জিতেছেন বিরাটরা। দিল্লিকে ২৩ রানে হারিয়েছে আরসিবি। অর্ধশতরান করে ম্যাচের সেরা হয়েছেন বিরাটই।
Virat kohli Didn't shake hands with Ganguly… #RCBvDC pic.twitter.com/0jw8AjoGHW
— runmachinevirat (@runmachine117) April 15, 2023
বিরাট ও সৌরভের এই তিক্ততা শুরু হয় যখন বিরাট ভারতীয় দলের অধিনায়ক ও সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত ব্যর্থ হওয়ার পরে ছোট ফরম্যাটে দলের নেতৃত্ব ছাড়েন বিরাট। তার পরে সৌরভ জানান, তিনি বিরাটকে নেতৃত্ব ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন। বিরাট শোনেননি। সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ক রাখা মুশকিল। তাই এক দিনের দলের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় বিরাটকে। কয়েক মাস পরে টেস্ট দলের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দেন বিরাট।
পরে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বিরাট অভিযোগ করেন, তাঁকে নেতৃত্ব ছাড়তে কেউ নিষেধ করেননি। এমনকি তাঁর সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে তাঁকে এক দিনের দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সেই বিবাদ এখনও চলছে। আইপিএলে সেটাই দেখা গেল।