জবি প্রতিনিধি: স্বকীয়তা এবং স্বতন্ত্র রক্ষার্থে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা আহবান করে ১৭ এপ্রিল মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
এ প্রেক্ষিতে শনিবার (১৫ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি উপাচার্যের নিকট পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন করার পর ৯ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সভা আহবান করা হয়নি। ইউনিট ভর্তি কমিটিসমূহ ইতোমধ্যে সভা করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে বেশ কিছু সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির কোন সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ এবং ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভা করে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে ভর্তি বিলম্ব ও সেশনজটের শঙ্কা দেখিয়ে বলা হয়, ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অহেতুক বিলম্ব এবং প্রচন্ড সেশনজটের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে যা অপ্রত্যাশিত এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম এবং অগ্রগতির পথে অন্তরায়। ঈদের ছুটির পূর্বে ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত না হলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে যা কোনভাবেই আমাদের কারোরই কাম্য হতে পারে না।
এর আগে ৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৫ তম একাডেমিক কাউন্সিল সভায় নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। ঐদিন উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও সব ডিন নিয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ১০ এপ্রিল ইউনিট ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ইউনিট ভর্তি কমিটির সদস্যরা বৈঠক করে প্রাথমিকভাবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘বি’ ও ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া, আবেদন ফি এক হাজার টাকা নির্ধারণ, যোগ্যতা এবং আনুষাঙ্গিক বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির নিকট প্রস্তাব পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সমন্বয় বৈঠক করে সবকিছু চূড়ান্ত করবে বলে জানানো হয়েছে।