বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ আজ বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।বাঙ্গালী জাতির সবচেয়ে বড় উৎসব পহেলা বৈশাখকে আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।
বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নববর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজমের নেতৃত্বে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ থেকে সকাল ৯ ঘটিকায় মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়ি প্রাঙ্গণে পৌঁছায়।
‘অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ঢোলের তালে গরুর গাড়িতে চড়ে প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে দেশের লোকজ পেশার পরিচ্ছদে মঙ্গল শোভাযাত্রাকে আলিঙ্গন করে।
এরপর বাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতির নিদর্শনে সুসজ্জিত রবীন্দ্র কাছাড়ি বাড়ির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে উদযাপিত হয় আলোচনা সভা ও ঐতিহ্যসম্বলিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসবমুখর অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ শাহ্ আজম বলেন, ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মূল্যায়ন করেছে অন্যায় ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের মানুষের সাহসী সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে। ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গ-নির্বিশেষে দেশের সব মানুষের একই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের বিষয়টিও ইউনেসকোর এই স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এই আহবানে উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে এগিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, ট্রেজারার ড. ফিরোজ আহমেদ এবং বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।