The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

বাস শিডিউলে ভোগান্তিতে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

পাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) দুপুরের বাসের শিডিউল ১টা ২৫ মিনিট। তার ঠিক দশ মিনিট আগেই বাসের সকল আসন পূর্ণ হয়ে গেছে। কিছু শিক্ষার্থী ধাক্কাধাক্কি করে কোনোমতে বাসে উঠলেন এবং জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। কিছু শিক্ষার্থী বাসের দরজায় ঝুলে আছে। বাসে উঠতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থী বিকল্প হিসেবে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় উঠে পড়লেন। এ যেনো রমজান মাসের নিত্যদিনেরই ঘটনা। কাঁধে ব্যাগ নিয়ে বাসের হাতল ধরে ঝুলতে ঝুলতে বাসে করে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের ।

এ সমস্যার অন্যতম কারণ হচ্ছে রমজান মাসে বাস সংখ্যা কমানো এবং বাসের শিফট সংখ্যা কমানো। এর কারণে রোজা রেখে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ পুল সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত বাসের সংখ্যা মোট ১১টি। এর মধ্যে ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব বাকি ২ টি ভাড়া করা। তবে দীর্ঘ দিন ধরে শিক্ষার্থীদের ১নাম্বার বাসটি ব্যবহার করা হচ্ছেনা।

রমজানের আগে সিডিউল অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ টা শিফটের ক্লাসের জন্য ৬ টা শিফটে বাস চলাচল করত, প্রতি শিফটে ছেলেদের ৪ টা মেয়েদের ৪ টা করে বাস চলাচল করত। কিন্তু রমজান মাসে নতুন সিডিউল অনুযায়ী একটা শিফটের বাস সম্পন্ন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দুপুরের শিফটে শিক্ষার্থীদের চাপ বেশি হলেও দুপুর ১:২৫ এর সিডিউলে ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য মাত্র তিনটি বাস রাখা হয়েছে।

প্রথম রমজান থেকে ছেলে এবং মেয়েদের তিনটি কম্বাইন বাস এবং এক শিফটের বাস বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্নভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা এসব নিয়ে কথা বলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রশাসন শিক্ষার্থীদের এসব অভিযোগ আমলে নেয়নি।

সিগবাতুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রায় সকল ডিপার্টমেন্টের ক্লাস,পরিক্ষা নিয়মিত হচ্ছে। রমজান মাসে বাস সংখ্যা কমিয়ে দেওয়াটা সত্যিই হতাশাজনক।দুপুরে ক্লাস শেষে এসে বাসে বিন্দু পরিমান জায়গা পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে অটোরিকশায় করে আসতে হচ্ছে। প্রসাশন যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আরো ভোগান্তি পোহাতে হবে আমাদের শিক্ষার্থীদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সাথে বাস নিয়ে তামাশা করছে। রমজান মাসে বাসে সিডিউল চেঞ্জ করে এবং বাস সংখ্যা কমিয়েছে। যা ফলে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে। ক্যাম্পাস আসা যাওয়ার জন্য বাসের সিট পাচ্ছি না, এমন কি দাঁড়িয়ে বাসে জায়গা পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহন পুলের প্রশাসন ড. রাহিদুল ইসলাম রাহী বলেন, ইউজিসি এর নিয়ম অনুযায়ী আমাদের ২০% জ্বালানি খরচ কমাতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনে খাতে জ্বালানি(পেট্রোল, ডিজেল) দরকার হয় প্রতিবছর ৬০ লক্ষ টাকা কিন্তু আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৩৫ লক্ষ টাকা যার ভেতরে ২০% জ্বালানি খরচ আরো কমাতে বলেছেন ইউজিসি। এতে আমাদের কাছে জ্বালানি বাবদ ২৮ লক্ষ বরাদ্দ ছিল। পাশাপাশি তেলের দাম বৃদ্ধিও পেয়েছে । বরাদ্দকৃত টাকা গতবছর ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে গেছে। যার ফলে জ্বালানির অর্থের অভাবে বাস গুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে কিছু সংখ্যক বাস কমিয়ে বাকি বাস গুলো চালাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা দুটি বিআরটিসি ডাবল ডেকার বাস ভাড়া করে চালাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিষয়টা আমরা দেখেছি। এর জন্য দুপুরের শিফটে আরো দুটি বাস বেশি যুক্ত করা হবে।

এমরান হোসেন তানিম/

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.