কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থী
বহিরাগতদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে নগরীর রানীর বাজার এলাকায় মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক জানান, টিউশনি শেষ করে তারাবির নামাজ আদায় করবার জন্য রানীর বাজার মসজিদে গিয়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর কয়েকজন ছেলে এসে বাহিরে কেউ অপেক্ষা করছে বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে ২৫ থেকে ৩০ জন লোক তাঁকে এলোপাতাড়ি মারধরকিল শারীরিকভাবে জখম করে। সেখানে থেকে বাজারের এক গলিতে নিয়ে তাকে দ্বিতীয় দফায় আবারও মারে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি করে। তাদের মধ্য থেকে কয়েকজন তাকে বলেন, তোর এখন আসল শাস্তি হবে। এতক্ষণ যা হয়েছে সেগুলো পানি ভাত। তুই কিভাবে মরতে চাস বল। টানা ৪০-৪৫ মিনিট অমানবিক নির্যাত করার পর মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় হামলাকারীরা। পরে হামলাকারীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁকে একা ফেলে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, তাঁকে মারধরকারীরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। তবে তাঁকে উদ্ধারে এগিয়ে আসা কান্দিরপাড় পুলিশ কন্ট্রোল রুমের উপ-পরিদর্শক আমজাদ হোসেন বলেন, মারধরকারীরা কিশোর গ্যাং নয়। একটা ভুল বোঝাবুঝি মধ্যে থেকে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে উভয় পক্ষ বসে বিষয়টি সমাধান করেছিল। তারা নিজেরা সমাধান করে ফেলায় আমরা আর কোনো পদক্ষেপ নেইনি। তবে ভুক্তভোগী মামলা করলে বিষয়টি আমরা দেখবো।
এ ঘটনায় প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মোজাম্মেল হক। তবে ঘটনার সময় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ফোন করে পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রক্টরকে ফোন দিলে প্রতিবেদকের কলও সাড়া দেননি তিনি।