জাবি প্রতিনিধিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ফার্মেসী বিভাগের আয়োজনে ‘Prevention of Misinformation and Social Inoculation’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের একটি কক্ষে এ সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে ভুল ও বিকৃত তথ্য কিভাবে ব্যক্তি ও সমাজ পর্যায়ে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সে বিষয়ে বক্তৃতা এবং বিভিন্ন সমসাময়িক ও বাস্তবভিত্তিক উদাহরণের সাহায্যে চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কোর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ও ঢাকা অফিসের ইন-চার্জ ড. সুজান ভাইজ।
তিনি বিকৃত তথ্যের সৃষ্টি ও বিস্তার এবং কিভাবে তা চিহ্নিত করা যেতে পারে তার উপরও বিশেষভাবে আলোকপাত করেন। এছাড়াও সেমিনারের অপর আলোচক ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. সাকিবা ইয়াসমিন এধরণের বিকৃত তথ্য ঘটিত ক্ষতির হাত থেকে সমাজকে কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় তা সংক্ষেপে আলোচনা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ দিদারে আলম মুহসিন দেশের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়নে জাতিসংঘের তরফে ইউনেস্কো যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে তার প্রশংসা করেন। দেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে যেসব প্রধান বাধা রয়েছে তার উপর সংক্ষেপে আলোকপাত করে তিনি বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য বিভিন্ন ডাটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম যোগানের ক্ষেত্রে আর্থিক সীমাবদ্ধতা নিরসনে ইউনেস্কোর সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যের জবাবে ড. সুজান তাঁর অফিস থেকে তাদের নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের এবং এব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় যোগাযোগ অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
এর আগে ড. সুজান এক সংক্ষিপ্ত সৌজন্য সাক্ষাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ নূরুল আলমের সাথে মিলিত হন। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার। ফার্মেসী বিভাগের পক্ষে অধ্যাপক মোঃ মাফরুহী সাত্তার এবং অধ্যাপক ড. সাকিবা ইয়াসমিন এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ড. সুজান প্রায় ১৬ বছর ধরে ইউনেস্কোর হয়ে কাজ করছেন। ইউনেস্কোর হয়ে তাঁর পথ চলা শুরু হয় ২০০৬ সালে সামোয়ায় একজন সোস্যাল এন্ড হিউম্যান সায়েন্সেস প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে। যেখানে তিনি দীর্ঘ ৮ বছর এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। পরে ২০২২ সালের জুলাইয়ে তিনি ঢাকা অফিসের ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশে শিক্ষা, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, যোগাযোগ, তথ্য এবং সোস্যাল এন্ড হিউম্যান সায়েন্স প্রোগ্রামের আওতায় ইউনেস্কো ম্যান্ডেটের চার্জে রয়েছেন। এর আগে তিনি ইউনেস্কোর ব্যাংকক-ভিত্তিক রিজিওনাল অফিসে ইউনেস্কোর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রিজিওনাল সোস্যাল এন্ড হিউম্যান সায়েন্সেস অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।