মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ মহান স্বাধীনতা দিবস ও নিজেদের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘লণ্ঠন’।
সোমবার (২০ মার্চ) বিকাল ৩টায় ডায়না চত্ত্বরে প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে জানো’ বিষয়বস্তু উপর কুইজ প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ‘লণ্ঠন’র সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল কবির সৌরভ, সহ-সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম মোরশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মরিয়ম বেগম, অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, প্রচার সম্পাদক শাপলা খাতুন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদেম মুনিব, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সোহানা খাতুন ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাদিয়া সুলতানা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট কাউন্সিলের সভাপতি মুসা হাশেমী ও বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখার সভাপতি এস এ এইচ ওয়ালীউল্লাহ।
প্রতিযোগিতা প্রথম স্থান অধিকার করেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন, দ্বিতীয় হয়েছেন আল-কুরআন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের হুমায়ুন কবির এবং ৩য় স্থান অধিকার করেছেন ফার্মেসি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেহেদী হাসান তপু। এছাড়াও মোট সাতজনকে পুরস্কৃত করা হয়।
কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা এরকম একটি আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং পরবর্তী দিনগুলোতে এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখার প্রত্যাশা করেন।
এ বিষয়ে ‘লণ্ঠন’র সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিরুল কবির বলেন, ‘লণ্ঠন “মেধা ও মননে প্রগতিশীল বাংলাদেশ” স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গাইড লাইন প্রদানের মাধ্যমে তাদের সফলতার শীর্ষ শিখরে পৌছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে।
তিনি বলেন, একাডেমিক পড়াশোনা যেমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তেমন সংগঠন গুলো নেতৃত্বের বিকাশ ঘটিয়ে দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক গড়তে সাহায্য করে এবং একজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সামাজিক দায়বদ্ধতা শিখানো যেমন পথ শিশুদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, রক্ত দান, শীতবস্ত্র বিতরণের মতো কাজ করতে আগ্রহী করে তোলে। এইসব লক্ষ্য ও কার্যক্রম করার উদ্দেশ্যে লণ্ঠনের সৃষ্টি এবং লন্ঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তাদের ক্যারিয়ার মুখী শিক্ষা, দক্ষ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।