বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ রমজান পর্যন্ত ক্যাম্পাস খোলা থাকবে। এমতাবস্থায় হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে খাবার নিয়ে নানা উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। তাদের মধ্যে দেখা গেছে হলের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তার ছাপ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য দুইটি ও ছাত্রীদের জন্য দুইটি হল রয়েছে। হলের ডাইনিং-এর খাবার নিম্নমানের হওয়ায় রমজান মাসে খোলা ক্যাম্পাসে অবস্থান করা কষ্টকর হবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। তারা রমজান মাসে খাবারের মান উন্নয়নে হল প্রশাসনকে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। বেশি দাম দিয়ে নিম্নমানের খাবার খেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এখন নিম্নমানের খাবার খেয়ে এখন দিন কাটিয়ে দিতে পারলেও রমজান মাসে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা সম্ভব হবেনা বলে মনে করে অধিকাংশ শিক্ষার্থী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থারত রাকিব হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলের খাবারের মান ভালো না, দাম ও বেশি। খাবার খেতে বসে খেতে না পারা এবং অসুস্থ হওয়ার ঘটনা অনেক। এমন নিম্নমানের খাবার খেয়ে রমজান মাসে রোজা রাখা ছাত্রদের জন্য কষ্টকর হবে এবং বলা যায় হুমকিস্বরূপ। কারণ, সেহরির সময়ে দূরের হোটেল গুলোতে গিয়ে খাওয়াও সম্ভব হবে না। বাধ্য হয়ে এসব খাবার খেয়েও আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকব।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো: সাজেদুল ইসলাম বলেন, “রমজান মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি পবিত্র ও তাৎপর্যময় মাস। ধর্মীয়বিধি অনুযায়ী ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আহার গ্রহণ না করে রোজা রাখা, তারাবি নামাজসহ, নানাবিধ ধর্মীয় ধ্যানে শরীর-মননে নিয়োজিত রাখতে হয়। এক্ষেত্রে নিম্নমানের খাবার খেয়ে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে পড়বে। এর জন্য হল প্রশাসনের প্রতি হলের ডাইনিংগুলোকে বিশেষ নজরের আওতায় নিয়ে এসে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনার দাবি জানাচ্ছি।”
আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী সানোয়ার রাব্বী প্রমিজ বলেন, ” মুসলিমদের সর্বোচ্চ ইবাদত, রহমতের মাস রমজান আসছে। রমজান মাসে সচরাচর ছুটি থাকলেও করোনার কারণে এখন সেশন জট কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ তারিখ পর্যন্ত খোলা থাকবে এটাকে সাধুবাদ দেই। তবে আমি খুবই চিন্তিত যে ক্যাম্পাসের খাবারের যে মান এই খাবার খেয়ে সারাদিন রোজা থাকা খুবই কঠিন হয়ে যেতে পারে। ক্যাম্পাসে ভালো মানের খাবার হলগুলোতে সুলভ মূল্যে পাওয়া নিয়ে অনেকেই বলেন তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। রমজানে গুণগত খাবারের মান বাড়াতে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নিবে এই প্রত্যাশা করি।”
এবিষয়ে হল কাউন্সিল সভাপতি মাসুম হাওলাদার বলেন, “হলের খাবারের মান যাতে রমজান মাসে ঠিক থাকে সেবিষয়ে হলের ডাইনিং কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো। দামের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে যাতে ভালো মানের খাবার পরিবেশনা করা যায় সেটির প্রতি দৃষ্টিপাত থাকবে।”
সাধারণত রমজান মাসে দিনের বেলায় ডাইনিং বন্ধ থাকে। এজন্য অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য দিনের বেলায় খাবারের ব্যবস্থা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অন্যান্য ধর্মালম্বীদের জন্য আমরা মিটিং করে রমজান মাসে যাতে ক্যাম্পাসেই সারাদিন খাবার পাওয়া য়ায় সে ব্যবস্থা করবো।”