The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪

এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের ছাত্র নাফিস

চাঁদপুরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটা ছেলে, নাফিস উল হক, পৃথিবীর সেরা ইউনিভার্সিটি এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে।

কলেজের একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলেও নাফিসের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি ও গ্রুপে নাফিসের এমআইটিতে চান্স পাওয়ার খবরটি প্রকাশ করছে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ফেসবুক পোস্টে লেখা হয়, রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের একটা ছেলে এবারের মেডিকেল এডমিশনে ফার্স্ট হইসে। টিভি বা প্রেস মিডিয়ার বদৌলোতে এই খবরটা সবাই জানেন।

ঠিক একই সময়ে, চাঁদপুরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একটা ছেলে, নাফিস উল হক, পৃথিবীর সেরা ইউনিভার্সিটি এমআইটিতে এডমিশন পাইসে। এখনও পর্যন্ত আমি কোন টিভি বা প্রেস মিডিয়াতে তারে নিয়া ইন্টারভিউ বা ফিচার হতে দেখি নাই।

না, আবারও বলি, ডোন্ট গেট মি রং। মেডিকেল এডমিশন খুবই কঠিন একটা এডমিশন এবং এখানে ফার্স্ট হলে তারে নিয়ে মাতামাতি হওয়াই উচিত। ইন্টারভিউ হওয়া উচিত এবং তার কথা সবার জানাও উচিত।

একই সাথে, যে ছেলেটা চাঁদপুরের একটা সরকারি কলেজ থেকে আমেরিকা এবং বিশ্বের অন্যতম সেরা ইউনিতে এডমিশন পাইসে, তার ইন্টারভিউও কি দরকার নাই? তার কথাও কি এদেশের ছেলেমেয়েদের জানা উচিত না? যাতে ভবিষ্যতে ওর মতো আরো অনেক ছেলেমেয়ে এই সাহসটা করতে পারে?

আমরা আমাদের ইয়াং জেনারেশনদের নিয়া সবচে কমন যে অভিযোগটা করি, সেটা হলো, এরা গতানুগতিক। এবং এদের সবাই শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হইতে চায়, বিসিএস ক্যাডার হতে চায়, চেনা ছকেই শুধু সামনে আগাইতে চায়।

বাট এইটার দায় কি আমাদের মিডিয়ারও না? বা সমাজেরও না?

মিডিয়া যদি প্রতিনিয়ত শুধু চেনা পথের হিরোদেরকেই সবার সামনে পরিচয় করাইয়া দেয়, অচেনা পথের হিরোদের আড়াল কইরা রাখে, তাহলে পোলাপাইন সেই অচেনা পথের খোঁজ পাবে কেমনে? আর সেই পথে চলার সাহসটাই বা কী করে?

প্রতিবছর বিসিএস বা এডমিশনে ফার্স্ট হওয়াদের নিয়ে যতগুলো ইন্টারভিউ বা ফিচার করা হয়, ওগুলো দেখে লাখ লাখ ছেলেমেয়ে তাদের চলার পথ নির্ধারণ করে। রুটিন বানায়। পড়াশোনার কৌশল নির্ধারণ করে।
কাজেই, চাঁদপুরের সরকারি কলেজ থেকে এমআইটি যাওয়ার পথটা নিয়েও যদি এখন ফিচার করা যায়, ব্যাপকভাবে প্রচার করা যায়, তাহলে নিশ্চিত করেই বলা যায়, পরের বছর রংপুর বা খুলনার কোন কলেজের স্টুডেন্টও ওখানে যাওয়ার সাহস করবে। এটলিস্ট স্বপ্নটা অন্তত দেখবে।

নাফিস উল হক তার নিজের কাজটা করেছেন। পরিশ্রম দিয়ে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তাকে অভিনন্দন। এখন তার এই স্বপ্নকে আরো হাজারো তরুণ-তরুণীর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটা এই দেশের মিডিয়াকে এবং মানুষকেই করতে হবে।

পথিক সবসময়ই নতুন পথের সৃষ্টি করে। সাথে এইটাও মনে রাখতে হবে, এক সফল পথিক হাজারো নতুন পথিকের জন্ম দিতে পারে, যারা ঐ পথ ধরে আরো নতুন একশোটা পথ তৈরির ক্ষমতা রাখে।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ রাইজিং ক্যাম্পাসকে বলেন, তিনি বিষয়টি অনানুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। নিজেও গণমাধ্যমে নাফিসের চান্স পাওয়ার কথা শুনেছেন। বিকেলে বিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত জানাবেন। নাফিস অনেক মেধাবী।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.