কলেজ প্রতিনিধি: কবি নজরুল সরকারি কলেজের ‘বিদ্রোহী’ নামক বাসের সিটে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ বসলে তাঁকে সেখান থেকে সরে যেতে বলে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। তখন জুনায়েদ নিজেকে অনার্সের এবং তাদের সিনিয়র পরিচয় দিলে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফসান, হাসিব, জিসান ও রাতুলসহ বেশ কয়েকজন মিলে তাঁকে চড়-থাপ্পড় দেয়। এরপর জুনায়েদ এ ঘটনা তার বন্ধুদের জানালে তারা দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে যায়, তখন তারা আবারও জুনায়েদসহ তার বন্ধু এবং কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম, আসাদ শরীফকে স্ট্যাম্প দিয়ে পেটায়।
স্ট্যাম্পের আঘাতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমের মাথা ফেটে গেছে, আর আসাদ ও শরীফের হাত ভেঙে গেছে এবং জুনায়েদের চোখে জখম হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের সবাইকে স্থানীয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। নাঈমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হামলার শিকার অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জুনায়েদ জানান, আমি বাসের সিটে বসে ছিলাম। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফসান আমাকে সিট থেকে উঠে যেতে বলে। সিটে বসাকে কেন্দ্র করেই মারামারি সূত্রপাত। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাফসান আমার গায়ে হাত তুলে। এরপর আবার ক্যাম্পাস মাঠে রাফসান, হাসিব, জিসান, রাতুল ও তার বন্ধুরা মিলে স্ট্যাম্প ও নানা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ও আমার বন্ধুদের মারধর করে। আমার চোখ জখম হয়েছে। আমার এক বন্ধুর মাথা ফেটে গেছে। ওর অবস্থা খুবই খারাপ। আর দুজনের হাত ভেঙে গেছে।
হামলার বিষয়ে কলেজে অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম জানিয়েছেন, এমন ঘটনা খুবই দুঃখজনক ঘটনার পরপরই আমি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। একজন শিক্ষার্থীর অবস্থা খুবই খারাপ; তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে। তাৎক্ষণিক মিটিংয়ে আমরা আপাতত বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একাডেমিক মিটিংয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন্স) মো. ওহিদুল হক মামুন বলেন, আমি ঘটনা শুনেই এসেছি। সবার সাথে কথা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।