কাচ্চি-বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ করা ব্যক্তিকে খুঁজে পায়নি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গিয়েছে। সুলতান’স ডাইনকে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বিষয়টি জানান।
সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের নিজস্ব কোনো সোর্স নেই। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকি। আর আমাদের অভিযোগ জানাতে হয়। সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে যে নম্বর থেকে ফোন করে আমাদের অভিযোগ জানানো হয়েছিল, পরে আমরা সেই ফোন নম্বর বন্ধ পেয়েছি। তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করতে পারিনি।
পরে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল সই করা এক প্রতিবেদনে সুলতান’স ডাইনকে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
তাই খাসি বাদে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহার সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন ভোক্তার মহাপরিচালক।
এর আগে, বিরিয়ানিতে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর ৯ মার্চ গুলশানের সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তার প্রেক্ষিতেই আজকের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।