The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
বৃহস্পতিবার, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মা-বাবাকে নিয়ে এসেছেন শুভ

আজ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ষষ্ঠ সমাবর্তন। সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস । গ্র‍াজুয়েটদের পদচারণা, কস্টিউম সংগ্রহ, ছবি তোলা ইত্যাদি কে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।

দীর্ঘ আট বছর পর শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হতে যাওয়া এবারের সমাবর্তন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বেলা আড়াইটায় শুরু হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক শেষ করেছেন শুভ সরকার।  শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ এ দিনকে স্মৃতিময় করতে একদিন আগেই দিনাজপুর থেকে বাবা-মাকে ক্যাম্পাসে এনেছেন তিনি।

শুভো সরাকারের বাবা কার্তিক চন্দ্র ক্ষিতিশ (৬১) ও হাসি রানী সরকারের (৫০) সাথে সমাবর্তন গাউন এবং ক্যাপ পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় ছবি তুলছিলেন। ছেলের সমাবর্তনে আসতে পেরে শুভোর বাবা-মা খুব আনন্দিত।

কার্তিক চন্দ্র ক্ষিতিশ বলেন, ‘আমার ছেলেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়ে আমি আনন্দ পেয়েছি। আমার ছেলে গ্রাজুয়েট হয়েছে। আমার ভালো লাগতেছে। এখানকার যে অনুষ্ঠান তা দেখে আমার মনটা অনেক শান্তি হয়েছে। আমি গর্ববোধ করছি।’

হাসি রানী বলেন, ‘আমার ছেলে গ্রাজুয়েশন পাশ করেছে। আমার খুব ভালো লাগছে। আমি এতে খুব খুশি। যে স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি তার অনেকটা পূরণ হয়েছে।’

মা-বাবাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার অভিব্যক্তি জানিয়ে শুভ সরকার বলেন, ‘এই অনুভূতিটি প্রকাশ করা মতো না। আপনারা যদি আমার চোখের দিকে তাকান, আমার চোখের কোণায় জল চলে এসেছে। আসলে এটা যে কত আনন্দের, একজন সন্তানের জন্য কত গর্বের বিষয় শুধুমাত্র সন্তানই তা জানে।’

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর এর আগে মোট পাঁচটি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এবারের আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সময়ে পঞ্চম সমাবর্তনে রেকর্ডসংখ্যক ৯ হাজার গ্রাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারী ছিলো। যার মধ্য থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থীকে ২৩টি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.