আলতাফ হোসেন গরুর খামার করে ২ বছরের মাথায় সফলতার মুখ দেখতে শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ লিটার দুধ উৎপাদন হচ্ছে। মাস্টার্স পাশ করার পরপরই গরু পালন শুরু করেন তিনি। বেকার বসে না থেকে নীজ বাড়িতে গরুর খামার গড়ে তোলেন।
খামারি আলতাফ হোসেন সাতক্ষিরার কলারোয়ার উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের যুগিখালী গ্রামের বাসিন্দা। মাস্টার্স শেষ করে বেকার বসে না থেকে গত ৫ বছর আগে ৮ লাখ টাকা খরচ করে ৩টি গাভীসহ মোট ৮ টি ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দিয়ে খামার শুরু করেন। খামার শুরু করার ২ বছরের মাথায়ই সফলতা পান তিনি।
আলতাফ হোসেন বলেন, মাস্টার্স পাশ করে চাকরির পেছনে ছুটিনি। নিজে উদ্যোগ নিয়ে ৮টি গরু কিনে খামার শুরু করি। খামারের নাম ’রহিমা এগ্রো ফার্ম’ দেই। আমি আমার খামারের নাম আমার মায়ের নামে রেখেছি। ৮টি দিয়ে শুরু করে বর্তমানে আমার খামারে ২৮টি গরু রয়েছে। খামারের গরুকে নিজ জমিতে লাগানো ঘাষ, বিচালি, খৈল ও ভুষি খাওয়াচ্ছি।
খামারি আলতাফ জানান, তিনি গরু গুলো দেশি পদ্ধতিতেই বড় করেন। কোনো রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না তিনি।
তিনি আরো বলেন, আমার খামারের গরু কোনো হাটে বা বাজারে উঠাই না। গরু হাটে বা কোনো বাজারে তুললে বিভিন্ন রো’গে আক্রান্ত হতে পারে বলে এমনটাই করি। যারা আমার খামারের গরু কিনতে চায় তারা বাড়িতে এসেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।