একটি কলাতেই মিলবে তিনবেলা খাবারের যোগান, তিন থেকে চারজন মানুষে খেয়ে শেষ করতে পারবেনা একটি কলা। বিশাল আকৃতির এই কলা পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়া দুর্গম আরাকাফ পর্বতে।
বিশাল আকৃতির কলার পোশাকি নাম জায়ান্ট হাইল্যান্ড ব্যানানা। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় কলা বলে পরিচিত। যা একটি বাংলাদেশি কলার আট থেকে দশ গুন বড় হয়ে থাকে। দৈত্বাকার এই কলাগুলো শুধু নিজেরাই বড় নয় বরং যে গাছে জন্মায় সেটাও হয় বিশাল লম্বা। যার ফলে এই কলা গাছকে বিশ্বের দীর্ঘতম ভেষজ উদ্ভিধ বলেও বিবেচনা করা হয়। একেকটি কলা গাছ তাল গাছের চেয়েও বড় হয়। এই কলা গাছের সর্বচ্চ উচ্চতা হয় ৯৮ ফুট পাতাগুলো হয় ১৬ থেকে ১৮ ফুট। একেকটি কাদির ওজন হয়ে থাকে প্রায় ৬০ কেজি। আর একটি কলার কাদি ১৫ মিটার লম্বা হয় যেখানে প্রায় ৩০০ কলা থাকে। প্রতিটি কলা ২৫-৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়।
ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় ১০ হাজার বছর পূর্ব থেকে এই দৈত্বাকার কলা গাছ জন্মে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই কলার বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করার চেষ্ঠা চালিয়েছেন কিন্তু সফল হতে পারেননি। মূলত এই কলা গাছ সুমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০০ থেকে ২০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ার বনাঞ্চলের আলো-আধারে এই গাছে জন্মে। নির্দিষ্ট আবহাওয়া ছাড়া এই কলা গাছ জন্মাতে পারে না।
মজার ব্যাপার হলো কলা গাছের উচ্চতা অনেক বেশি হওয়ায় ফল পেকেছে কি না তা যাচায় করা যায় না। এক্ষেত্রে তারা পাখির উপর নির্ভর করে। পাখি যখন কলা খেয়ে নিচে ফেলেতে থাকে তখনই বোঝা যায় কলা পেকেছে। সে অনুযায় তারা উচু গাছের কলা নামিয়ে আনার প্রস্তুতি নিতে থাকেন। গাছের উচ্চতা অনেক বেশি হওয়াই তারা কলা গাছের দুই পাশে বাশ পুতে কলা আহরণ করেন। তাছাড়া স্থানীয়রা এই গাছের পাতাকে বিছান হিসেবেও ব্যবহার করে থাকেন।
বিশাল আকারের এই কলা খেতে টক এছাড়া এই কলার ভিতর বাংলাদেশের আটি কলার মতো বিচি থাকে। সেখানকার বাসিন্দারা এই কলার বিচ রান্না করে খেয়ে থাকেন। কালো বাদামি রংয়ের এই বিচ খেতে বেশ মিস্টি ও সুস্বাধু হয়ে থাকে।