গত সোমবার সকালের তীব্র ভূমিকম্পে নাকাল তুরস্ক এবং সিরিয়া। ৭.৮ মাত্রার ভুমিকম্পের পর অন্তত ১০০ বার জোরালো আফটার শকে কাঁপে দুই দেশের মাটি। পরিসংখ্যান বলছে, ভূমিকম্পে সিরিয়া এবং তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তা আরও বাড়তে পারে। দেশের নানা প্রান্তে ভেঙে পড়েছে অন্তত ৬ হাজার বাড়ি। ভুমিকম্পের পাঁচ দিন পরেও চলছে উদ্ধার অভিজান। থেমে থেমে মিলছে প্রাণের খোজ।
১২৮ ঘণ্টা পর তুরস্কে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা হয় এক শিশুকে। দু’মাস বয়সি ওই শিশু টানা ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচেই চাপা পড়েছিল। সে বেঁচে থাকবে, আশা করেননি কেউ। কিন্তু এত মৃত্যুর ভিড়ে শিশুটি তার ভাষায় কেদে প্রাণের ঘোষণা করেছে । জীবিত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা গেছে।
তুরস্কের হাতায় প্রদেশে বাড়িঘরের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে দু’মাসের ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে শনিবার। তাকে উদ্ধারের সময় চারপাশে ভিড় জমে গিয়েছিল। উৎসাহী জনতা শিশুটিকে জীবিত দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
সিরিয়া, তুরস্কের এই ভূমিকম্পকে শতাব্দীর সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ও প্রাণঘাতী বলে মনে করছেন কেউ কেউ। বলা হচ্ছে, আগামী কয়েক দিনে এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে ৫০ হাজার। ২০০৩ সালে ইরানে ভূমিকম্পের বলি হয়েছিলেন ৩১ হাজার মানুষ। এরই মধ্যে সেই নজিরও ভেঙে দিয়েছে তুরস্ক এবং সিরিয়া।