The Rising Campus
Education, Scholarship, Job, Campus and Youth
শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪

ইবিতে প্রধান ফটকে ফের তালা দিয়ে বিক্ষোভ শিক্ষার্থীদের

মোস্তাক মোর্শেদ, ইবিঃ আন্তঃবিভাগ খেলা চালু সহ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে দল পাঠানোর দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৫ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা আটকে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরে সাড়ে তিনটার দিকে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ। এতে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস না চলায় ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্টগুলোতে দল পাঠানোর জন্য ন্যূনতম এক মাস আগে থেকেই দল তৈরি করতে হয়। তারপর প্র‍্যাক্টিস করে খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো দলই তৈরি করা হয় নি। এছাড়াও গত তিন বছর করোনার জন্য কোনো অভ্যন্তরীণ খেলাধুলা হয়নাই। করোনার পরেও প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো উদ্যেগ নেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে চিঠি দিয়ে দিয়ে হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং টেবিলটেনিস খেলাগুলোর ফিকশ্চার তৈরি করা হলেও খেলাগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায় নি।

এসময় শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্ট গুলোতে দ্বিধাহীন ভাবে অংশগ্রহণ করার দাবি জানায়। এছাড়াও দাবি করেন ইন্টারনাল গেম গুলো যেমন হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিস যত ধরনের খেলা আছে প্রত্যেকটা গেম অ্যারেঞ্জ করার এবং একটি বাৎসরিক ক্রীড়া সূচি দেওয়ার।

আন্দোলনে অংশে নেয়া ইবি ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ.এম বুলবুল বলেন, গত বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের বাস্কেটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। আমাদের ভিসি স্যারও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলো। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন বাড়ে সেখানে বারবার কেনো এই খেলার কার্যক্রম গুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এর আগে যখন গেট বন্ধ করেছিলাম তখন প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলো আমাদেরকে নিয়ে প্রক্টর অফিসে মিটিং ও করেছিলো। কিন্তু সেই আশ্বাসের এতোদিন পরেও আমরা কোনো রেজাল্ট পাই নাই। কয়েকদিনপর আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট খেলা শুরু হওয়ার কথা কিন্তু সেটিও নাকি বাজেটের কারণে বন্ধ হওয়ার পথে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল বলেন, পূর্নাঙ্গ টিম গঠনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট নেই। বিষয়গুলো উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য স্যারকে জানানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়গুলো আমাকে জানানো হয়নি। তবে কারো কোনো দাবি থাকলে সেগুলো আলোচনার টেবিলে সমাধান করা উচিত। গেটে তালা দিয়ে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

You might also like
Leave A Reply

Your email address will not be published.